কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ দৃষ্টিনন্দন ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে- এলাকাবাসীও সঠিক হিসাব বলতে পারে না-কেন? বাজারের পাশে এত বড় অট্টালিকা অযত্নে নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি ভবনটিতে কার্যক্রম চালু করে ইউনিয়নবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া হোক।
স্থানীয় জনসাধারণ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি কামনা করেছেন। জানা যায়, ১৯৯১ সালের বৃহত্তম গোরাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ’কে কিছু এলাকা নিয়ে মহেশখালী পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। আর বাকি পশ্চিমের অংশ নিয়ে ৮নং কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়। অত্র ইউনিয়নবাসীর সুযোগ-সুবিধার জন্য ২০০৪ সালে এলজিইডি বাস্তবায়নে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ বাজেটে ১০০ শতাংশ জমির উপর কুতুবজোমের প্রধান সড়কের পাশে দৃষ্টিনন্দন ভবনটি ১৮ বছর পূর্বে নির্মিত। ভবনের রয়েছে চেয়ারম্যান কক্ষ, সচিব কক্ষ, কৃষক তথ্য পরামর্শ কেন্দ্র, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ডিজিটাল সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কক্ষগুলো দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তালাবদ্ধ থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। ওই স্থায়ী পরিষদ ভবনের কার্যক্রম চালু হয়নি। বরং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল, গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাড়ির পাশের বাজারে একটি ভবনে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া করে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপকারভোগী ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডধারীদের অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। অপরদিকে নানন্দিক ভবনটিতে জমেছে ময়লার স্তুপ সেখানে দিনের বেলায় গরু-ছাগল আনাগোনা আর সন্ধ্যা হলেই বসে উটতি বয়সের যুবকের আড্ডা খানা থেকে পরিত্রানে এলাকাবাসীর দাবি ভবনটি চালু করে ইউনিয়নবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া হোক।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শহীদুল্লাহ বলেন, প্রথমেই অনেক এখানে আসে পরিষদ ভবন তালাবদ্ধ দেখে আমার কাছ থেকে প্রতিদিন অনেকেই জিজ্ঞেস করে আমি তাদের’কে অস্থায়ী কার্যালয়ে কালামিয়া বাজারে পাঠিয়েদি, সেইখান থেকে এসে উপকারভোগী ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডধারীদের অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহামুদুল হক বলেন, এই ভবনের কার্যক্রম চালু করা হলে জনগণের যেমন সেবা পেতে সুবিধা হবে, তেমনি এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তবে ভবন কেন চালু হচ্ছে না সেটা চেয়ারম্যান ভালো জানেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবনটি এক প্রান্তে হওয়ায় অসহায় পরিবারের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে কক্ষ ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছি। এতে পরিষদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে না। বিচার, সালিসের কার্যক্রম পরিচালনাসহ অন্যান্য কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে না।
মহেশখালী উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি অবগত ছিলাম না, সম্প্রতি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরে বিষয়টি নজরে আসে,খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।