এস চৌধুরী, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি
আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধন কে আরো দৃঢ় করতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে ডেয়ারিং টাইগার্স ২৩ ইঃ বেঙ্গল রেজিমেন্ট কাপ্তাই জোন।
বুধবার ২৬ আগস্ট ২০২০ সকাল ১১ ঘটিকায় রাজস্থলী সাবজোন কর্তৃক আয়োজিত হেডম্যান কার্বারী সম্মলনে রাজস্থলী সাব জোন অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মন্জুর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা ২৩ইঃ বেঙ্গল পার্বত্য রাজস্থলীতে দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে গরীব ও অসহায়দের পাশে থেকে আর্ত- সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনকে দৃঢ় করতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে অাসছে। তিনি আরো বলেন, কাপ্তাই জোন যে কোন দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি আর্ত-মানবতার সেবায় বেসামরিক প্রশাসন কে তাৎক্ষনিক সহায়তায় সার্বক্ষনিক পাশে ছিল এবং পাশে থাকবে। তিনি হেডম্যান কার্বারীদের উদ্যোশ্যে বলেন পাহাড়ে শান্তি চাই কেউ যদি অশান্তি সৃষ্টি করে থাকলে তাদের কে অাইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করবেন।
পাহাড়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীদের প্রতিরোধে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য আহবান জানান তিনি। আগামী ২১ সালে স্বাধীনতার সুর্বন্য জয়ন্তী হবে। এ পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সরকার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, রাজস্থলী হতে থেগামুখ পর্যন্ত যে সিমান্ত রোড নির্মান করা হচ্ছে তাতে এই এলাকার উন্নয়নের চেহারা পাল্টেযাবে এবং এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হবে।
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ফিরে অানতে হলে উন্নয়নের উপর ভরসা রাখতে হবে। অাপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য অামরা দেশ প্রেমিক হয়ে দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখবো। স্বাধীনতা অর্জন করেছি, স্বাধীনতা রক্ষা করে অামরা অাজ বাংলাদেশে বাস করছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে একটি উন্নত বাহিনী হিসেবে পরিচিত লাভ করে পৃথিবীর মানুষ সেনাবাহিনী সম্পর্কে জানে অামরা অান্তর্জাতিক ভাবে পরীক্ষিত।
আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা সহ সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনীর এমন উদ্যােগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।অাপনারা অস্ত্র ধারীদের প্রশ্রয় দিবেন না যদি তারা প্রকাশ্যে ঘোরা ফেরা করে তাহলে সাথে সাথে পুলিশ বা সেনাবাহিনীকে খবর দেবেন।
পাহাড়ের জনগনের জানমাল রক্ষা ও যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।সে ধারবাহিকতা বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সদা তৎপর হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক,থানা অফিসার ইনচার্জ মফজল অাহামদ খান,সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মুখলেসুর রহমান,ওয়ারেন্ট অফিসার লিটন,চিংখ্যং মৌজার হেডম্যান চথোয়ানু মারমা, কার্বারী উজ্বল কান্তি তনচংগ্যা প্রমুখ।