বান্দরবানের লামা থেকে গিয়াস উদ্দিন (৫০) নামে এক লোককে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারী ২০২২ইং) রাত ৪টায় লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বড় নুনারবিল পাড়াস্থ নাজমা বেগমের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিন কক্সবাজার জেলা পেকুয়া উপজেলার বার-বাকিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আবাদিঘোনা এলাকার নন্না মিয়ার ছেলে। সে লামা বাজারে মাছ-সবজির ব্যবসা করত ও বড় নুনারবিল এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া থাকত।
নিখোঁজের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের পরিবার অনেক খোঁজাখুজি করে কোন হদিস না পেয়ে লামা থানার সহযোগিতা কামনা করে। নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জুবাইদা বেগম (৩৫) বলেন, আমরা লামা পৌরসভার বড় নুনারবিল পাড়ায় নাজমা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকি। আজ শুক্রবার ভোররাত অনুমান ৪টায় আমার স্বামীকে ঘুম থেকে কয়েকজন লোক ডেকে বলে যে, বাহিরে আসার জন্য। আমার স্বামী বাসা থেকে বের হতে না চাহিলে বলে যে, আমরা লামা থানা থেকে এসেছি। পরবর্তীতে আমার স্বামী প্রচন্ড শীতে কাপড় পড়ে বের হলে তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে যায়। আমার স্বামীর সাথে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেয়। যাহার ফোন নং- ০১৮৭১৭২৪৫৬৪, ০১৮১০২৪৫৬১৮। তারা আমাকে সকাল ১০টায় লামা থানায় যোগাযোগ করার জন্য বলে। আমি সকাল ৭টা, ৮টা এবং ১০টার সময় থানায় যোগাযোগ করি।
যোগাযোগ করে দেখা যায় যে, লামা থানায় আমার স্বামীকে আনা হয়নি। আমি আমার আগের বাড়ি পেকুয়া ও চকরিয়া থানায় যোগাযোগ করি। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে কোথাও খোঁজে না পাওয়ায় আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
নিখোঁজের বর্ণনাঃ উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, মুখমন্ডল- হালকা গোলাকার, গায়ের রং- শ্যামলা, পরণে ছিল- গেঞ্জি, শীতের জেকেট ও প্যান্ট, চুলের রং কালো, সে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। শারীরিক গঠন-চিকন।
এই বিষয়ে কথা হয় লামা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাসের সাখে। তিনি বলেন, লামা থানা পুলিশ তার বাসায় যায়নি, বিষয়টি আমরা জানিনা। নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের লোকজন তার খোঁজে থানায় আসে। তারা ডায়েরি করতে চাইলে তাদের লিখে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত