ফরিদপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে এক নবজাতকের কপাল কেটে ফেলা ও আরামবাগ হাসপাতালে আরেক নবজাতকের হাতের হাড় ভেঙে ফেলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা হতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে ফরিদপুরের সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।মানববন্ধনে কপাল কেটে ফেলা নবজাতকের ফুফু হোসনে আরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এ কেমন দেশ যেখানে মায়ের গর্ভে সন্তান নিরাপদ নয়, হাসপাতালে রোগীর নিরাপত্তা নেই? গত পাঁচ-ছয় দিন আমরা যে কিভাবে কাটিয়েছি তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। আমাদের খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সবকিছু হারাম হয়ে গেছে।’ তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ভুক্তভোগী নবজাতকের বাবা শফি খান, নবজাতকের দাদা রব খান, হাড় ভেঙে যাওয়া নবজাতকের বাবা আরিফুল আলম সজল, দাদি মুক্তি বেগমসহ ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব পিকুল, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোস্তফা আমীর ফয়সল, আবরার হোসেন ইতু, তাহিয়াতুল জান্নাত, রুমন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।তারা এসব ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন এবং এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, আয়া দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করানোর সাজা কি হতে পারে? সেবার নামে এখানে রমরমা চিকিৎসাবাণিজ্য হচ্ছে। তারা বলেন, এসব প্রাইভেট হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসকরাই রোগী দেখেন যারা সরকারি হাসপাতালে রোগীকে সময় দিতে পারেন না। কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালে দিনের বেশিরভাগ সময় দেন। রোগীদের বিভিন্ন টেস্টের নামে অযাচিত বাণিজ্য করা হয়। তাদের দালালেরা সরকারি হাসপাতালের রোগী ভাগিয়ে নেন। এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তারা জোর দাবি করেন।
তারা এসব ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন এবং এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত