মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের নিজতালুক পাড়া এলাকায় মরহুম হাসান আহমদের পুত্র বাদশা বুলবুল এবং তার পুত্র মুন্না’সহযোগিদের হামলায় এমরান (২০) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত হয়েছেন। গত ১৫ ডিসেম্বর আনুমানিক বেলা ৩টার দিকে বসত বাড়ির সীমানায় বিরোধের মন্যমালিন্যর জেরে এঘটনা ঘটে।

আহত এমরান বড় মহেশখালী ইউনিয়নের নিজতালুক পাড়া এ-র বাসিন্দা মরহুম হাসান আহমদের ছেলে এবং আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বসত বাড়ির সীমানায় বিরোধের জের ধরে তারই সৎ ভাই বাদশা বুলবুল উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করেন। ঘটনার দিন বাদশা বুলবুল এবং তার পুত্র মুন্নাসহ তাঁর সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রসহ তার উপর হামলা চালায়। এসময় লাঠি দিয়ে এমরানের শরীরে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা এমরানকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে এমরান চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

কলেজের ছাত্র-এমরান জবানবন্দী মতে, হামলাকারী বাদশা বুলবুল প্রতিনিয়ত তাদের বসত ঘরের সীমানা বিরোধ নিয়ে মন্যমালিন্য চলে আসছিল দীর্ঘ দিন। এমনকি আমাকে হত্যারও হুমকি দেন প্রতিনিয়ত। ওইদিনই তার পুত্র মুন্না’সহযোগিদের নিয়ে তারই সৎ ভাই কলেজ পড়ুয়া এমরানের উপর দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে এমরান’র মাথায় হত্যার উদ্দ্যেশ্যে আঘাত ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এতে গুরুতর আহত করে।

অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা ও সীমানার বিরোধ মীমাংসা গ্রহণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মহেশখালী থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।