আজ শুর, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াই বন্দী নন, সারা দেশ এক অদৃশ্য কারাগারে রূপ নিয়েছে। দেশের মানুষও অগণতান্ত্রিক আওয়ামী সরকারের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি চায়। পাহাড়-সমতলের মানুষ অসাম্প্রদায়িক শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিএনপির পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
গণতন্ত্র উদ্ধার ও দেশমাতার মুক্তির দাবিতে পাহাড়ি-বাঙালি জনতার সম্মিলিত আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ। ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মারমা সম্প্রদায়ের বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। আশাকরি দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনেও তারা ভুমিকা রাখবেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া এস কথা বলেন।
চাকমা সম্প্রদায়ের পর মংসাইপ্রু চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদান করেছেন শতাধিক মারমা নেতৃবৃন্দ। রোববার (৯ জানুয়ারি ২০২২) বিকেল ৫ টায় জেলা সদরের গোলাবাড়ি এলাকায় এ উপলক্ষে এক যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলার সভাপতি সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া। এসময় তার হাতে ফুলের তোরা তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিক যোগদান করেন মারমা নেতৃবৃন্দ।
যোগদানকারিদের পক্ষে মানিকছড়ির বটনাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি মংসাইপ্রু চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে তৎকালীন মেজর জিয়ার ঘোষণার মধ্যদিয়ে পাহাড় ও সমতলের মানুষ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন।
খাগড়াছড়ি অঞ্চলের মংরাজাও সেই যুদ্ধে অংশ নেন। আমাদের রাজার অনুসারী হিসেবে মারমা সম্প্রদায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
বিএনপির নেতৃত্বে সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিপুল উন্নয়ন সাধিত করেছেন। তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক নেতা। তার নেতৃত্বে আমরা বিএনপির রাজনীতিতে অংশ নিতে পেতে গর্ববোধ করছি।
এসময় যোগদান কারিদের মধ্যে উপস্থিত অন্যতমরা হলেন- আপ্রুশি মারমা, মংসাথোয়াই মারমা, বুলি মারমা, চিং থোয়াই মারমা, ক্যজরী মারমা, সাথোয়াইঅং চৌধুরী, মংসাঅং মারমা, মংশিঅং মারমা, অংক্যচিং মারমা, মংচুঅং মারমা, সাজেং মারমা, মংথুইপ্রু মারমা, মংমং মারমা, সাজেং মারমা, কান্দি মারমা, রুইবেং মারমা, চেংহলাপ্রু মারমা, সাথোয়াইঅং মারমা, মংশেনুং মগ।
জেলা বিএনপির অন্যতম সহ-সভাপতি মংসুইথোয়াই চৌধুরীর সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ক্ষেত্র মোহন ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, যুগ্ম সম্পাদক এড. মালেক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে আব্দুর রব রাজা, ক্ষনি রঞ্জন ত্রিপুরা ও আবু তালেব, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম প্রমুখ।