কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় উপকূলীয় বন বিভাগের মহেশখালী রেঞ্জের কালামারছড়া বিটে সৃজিত সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (০৯ জানুয়ারী) বিকেলে বন বিভাগের উদ্যোগে আধারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপকুলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক।
বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শরীফ বাদশা, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম,
কালারমারছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, কালারমারছড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপকারভোগী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ'সহ সংশ্লিষ্ট বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের উদ্দেশে এমপি আশেক বলেন, এ সামাজিক বনায়ন বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের একটি প্রকল্প। গাছ লাগিয়ে নিজের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গাছের পরিচর্যা করা নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বাণিজ্যিক গাছ নয়, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় ঔষধি গাছও লাগাতে হবে। বন বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বন বাড়ানো গেলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি গাছ লাগানোর পাশাপাশি বনজ সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, সরকার বন রক্ষায় উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করেছে। এতে সরকারের টাকায় স্থানীয় হতদরিদ্ররাও মুনাফা পাচ্ছেন। তাই নিজেরদের আয়ের উৎস বাড়াতে এবং পৃথিবীকে বাসযোগ্য ভূমিতে পরিণত করতে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় হাফেজ হামিদুর রহমানের কোরআন তেলোয়াতের মধ্যে দিয়ে সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান শেষে সামাজিক বনায়ন রক্ষণাবেক্ষণে করা এসব বনে উৎপাদিত গাছের নিধারিত মূল্যের ১০ শতাংশ টাকা পরবর্তী বনায়নের জন্য গচ্ছিত রেখে বাকি ৯০ শতাংশের অর্ধেক ৮০ হেক্টর জমির ৮০ জনের মধ্যে ৫৮ জন উপকারভোগির উডলট ৩৮ জন উপকার ভোগি জনপ্রতি ৮৮ হাজার ৮৬৮ টাকা ও কৃষি বন বাগানের ২০ জন কে জনপ্রতি ৬৩ হাজার ৬৩৯ টাকা। সর্ব মোট ৬৬ লাখ ৫৮ জন উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।