খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলাতে শান্তিচুক্তির ২৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মহালছড়ি জোন অদম্য ৫৭ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শান্তি র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯:০০ ঘটিকায় টাউন হলের সামনে থেকে মহালছড়ি জোন জোনের দায়িত্বরত জোন অধিনায়ক মেজর দিদারুল ইসলাম, পিএসসি'র নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়ে বাজার হয়ে বাবুপাড়া ক্যাম্প প্রদক্ষিণ করে টাউনহলে এসে শেষ হয়।
আজকের আলোচনাসভায় প্রধান বক্তা মেজর দিদারুল ইসলাম পিএসসি বলেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এই শান্তিচুক্তি গত ২ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে সম্পন্ন করেছিলেন। সরকার পার্বত্য অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পার্বত্য চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নে পার্বত্য বাসী সকলকে একসঙ্গে নিয়ে সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজের গতি আরো তরান্বিত হবে আশা প্রকাশ করেন।
উক্ত এ আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা(মূর্ত বাবু), উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ১নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুইনুচিং চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ, মহালছড়ি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ শাহাজাহান পাটোয়ারী, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি দীপক সেন ও সাধারণ সম্পাদক মিল্টন চাকমা, বাজার সভাপতি সুনীল দাশ, পিজেএসএস ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ, হেডম্যান কার্বারী ও নির্বাচিত ওয়ার্ডের মেম্বারগণ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আপামর জনসাধারণ।
আজকের শান্তিচুক্তির ২৪তম বর্ষপূতি উপলক্ষে আজ সারাদিন ব্যাপী কর্মযজ্ঞের মধ্যে মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় অসহায় ও দরিদ্র অসহায়দের মাঝে চিকিৎসা সেবা ও উপজেলা টাউনহলে ১২.০০ঘটিকায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয় এবং মাঠে বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় ক্রিকেট খেলা প্রীতিম্যাচ ও সন্ধ্যা ৫.৩০ঘটিকায় উপজেলা টাউনহলে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্যে যে, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর সময় হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করেছে তৎকালীন গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনী। এ অবস্থায় পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির অবসানের জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে সুদীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর পার্বত্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে চুক্তির স্বাক্ষর হয়, যা পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বা শান্তিচুক্তি নামে পরিচিতি পায়।
তবে বাস্তবতার নিরীখে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি আওয়ামী লীগ সরকার দাবিকৃত চুক্তির বেশির ভাগ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে। আর অবাস্তবায়িত ধারাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে এবং এর জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ দরকার।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত