• বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অচিরেই জিও ব্যাগ,বাঁধ ও ব্লক দিন মেঘনার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে মানববন্ধনে এলাকাবাসী আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সাথে মতবিনিময় মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বান্দরবানে ইটভাটা বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষাধিক শ্রমিক শত কোটি টাকা ক্ষতি অবৈধ বালি উত্তোলনের মহোৎসব-,উল্টো প্রাণ নাশের হুমকি মহালছড়ি বাসীর ভালোবাসায় সিক্ত জননেতা ওয়াদুদ ভুইয়া গোয়ালন্দে পৃথক ভাবে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মোল্লাহাটে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে নানা আয়োজন বাঘাইছড়িতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ণাঢ্য র‍্যালী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে গ্রেফতার ২

খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মনগড়া ও অসত্য: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৬৬৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২১ আগস্ট নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। এ মামলায় কোনোভাবেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে কেউ কখনোই টু শব্দটি করেনি। তাকে নিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বহীন, মনগড়া, বানোয়াট ও অসত্য যে বক্তব্য দিয়েছেন- যা অনভিপ্রেত ও সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিকে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি আমাকে মারার চেষ্টা করেছেন’। অথচ এই আকস্মিক হামলার ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হতবাক ও বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি দ্রুত হতাহতদের খবর নিতে থাকেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমান এবং বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল তারেক সিদ্দিকীকে দেখতে সিএমএইচে যান।

তিনি বলেন, সে সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার বাসায় গিয়ে সমবেদনা জানাতে চেষ্টা করেন, এজন্য নিরাপত্তা বাহিনী দিনভর চেষ্টা চালায়। কিন্তু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী সুধা সদনের আশপাশের রাস্তা দিনরাত দখল করে রাখে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তার অগ্রীম টিম হিসেবে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে সেখান থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২১ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ এবং এতে হতাহতের ঘটনা মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক। এই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও ক্যাবিনেট নিন্দা জানান। নিহত ও আহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান ও দোষীদের বিচারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার কাছে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজ স্বাক্ষরে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে পত্র পাঠান। সেই চিঠি পৌঁছাতে গিয়ে পত্রবাহক নিজেও হামলার শিকার হন। বোমা হামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ সার্ভিস দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফবিআই সদস্যরা আসেন। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত দাবি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত একজন বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরবর্তীতে ১/১১ এর সরকারের সময় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষে অভিযোগ পত্রে (চার্জশিট) বোমা হামলার সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জড়িত থাকার কোন উল্লেখ নাই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নাম কেউ কখনোই উচ্চারণ করেনি। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশী পুনঃতদন্তের মাধ্যমে রচিত সম্পূরক চার্জশিটে তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নাম জড়িত করা হয়। এতে সুষ্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করে পুলিশী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কল্পিত চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, যে পুলিশ কর্মকর্তা কাহার আকন্দকে পুনঃতদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়, তিনি বর্তমান সরকারের অত্যন্ত আপনজন হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি সেসময় অবসরে থাকলেও এবং নৌকা মার্কা নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিতে এলাকায় ব্যাপকহারে পোস্টার সাঁটায়। পরে তাকে ডেকে নিয়ে এসে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২১ আগস্ট বোমা হামলার মামলার পুনঃতদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়- মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য। সরকারের ইচ্ছা পূরণে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাকে কয়েকটি পদোন্নতিও দেয়া হয়-যা নজিরবিহীন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ গ্রেনেড হামলার জন্য তারেক রহমানকে দায়ী করে। এই দাবির সমর্থনে তারা হাজির করে মুফতী হান্নানের একটি বানোয়াট জবানবন্দি-যা ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়া হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে মুফতী হান্নানকে পাশ থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা শিখিয়ে দিচ্ছেন কী কী বলতে হবে। এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে মুফতী হান্নানের পূর্বের জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনের সংবাদটি ওই মাসের ২৮ সেপ্টেম্বর একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদটি এরকম-‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছে মুফতী আব্দুল হান্নান। আবেদনে এই জঙ্গি নেতা দাবি করেন, তিনি স্বেচ্ছায় এধরনের কোনো জবানবন্দি আদালতে দেননি। ব্যাপক নির্যাতন করে সিআইডির লিখিত কাগজে তার সই আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি তারেক জিয়া, হারিছ চৌধুরী ও লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে কোথাও কোন সময়েই দেখা করিনি, পিন্টুর বাসাতেও কখনো যাইনি ও চিনি না এবং অন্যান্য আসামিদেরকেও আমি চিনি না।’ এছাড়াও তার ওপর অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মুফতী হান্নানকে দিয়ে যদি বিএনপি সরকার গ্রেনেড হামলা করায় তাহলে সেই সরকারই ২০০৫ সালের ১লা অক্টোবর কেন তাকে গ্রেফতার করে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও মামলায় সংক্ষিপ্ত কয়েকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। সমগ্র মামলাটি বিশ্লেষণ করলে এটিই সুষ্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপিকে ধ্বংস করার একটি সুদুরপ্রসারী নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই ২১ আগস্ট সংক্রান্ত মামলায় বিএনপিকে জড়ানো হয়েছে। বর্তমান সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য এখনও চলমান রয়েছে। আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়াকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জড়াতে সম্পূরক চার্জশিট তৈরি করার মাধ্যমে প্রহসনের বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাজা দিয়ে এখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ