রাঙামাটির নানিয়ারচরে ধর্মীয় নানা পুণ্যানুষ্ঠান, মহাস্থবির বরণ ও উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেতছড়িমূখ ধর্মোদয় বন বিহারে ৩য় বারের মত দানোত্তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের এই বিহারে ২দিনব্যাপি দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়্যারম্যান প্রীতিময় চাকমা।
অনুষ্ঠান মঞ্চে সঙ্ঘ প্রধান হিসেবে উপবিষ্ট ছিলেন, রাজগিরি বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সুমনালঙ্কার মহাস্থবির। এছাড়াও বেতছড়ি মুখ ধর্মোদয় বন বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মতিলোক মহাসস্থবির, জ্ঞানোদয় বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধসার স্থবির, রত্নাংকুর বন বিহারের আমন্ত্রিত শ্রীমৎ মৈত্রী জ্যোতি স্থবির সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আমন্ত্রিত ভিক্ষুসঙ্ঘরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মীয় বক্তব্য প্রদান কালে বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্ম তিলক মহাস্থবির বলেন, মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান পূণ্যময় ও সর্বোত্তম দান। বুদ্ধের নিয়ম মেনে জীবন পালন করলে পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হবে। তাই দান করার সময় অবশ্যই শ্রদ্ধাচিত্তে দান করে পূণ্যভাগী হতে হবে।
বক্তব্যে শ্রীমৎ মৈত্রী জ্যোতি স্থবির বলেন, ত্রিশরণ ও পঞ্চশীলের গুণ বুঝতে হবে। যারা বুজতে পারবে তারা পাপ কর্ম থেকে বিরত থাকবে।
এসময় ভক্তবৃন্দের পক্ষ থেকে পঞ্চশীল পাঠ করেন, মংখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমতি লাল চাকমা।
অনুষ্ঠানের বিকাল পর্বে ২০বর্ষা পূর্ণ হওয়ায় বেতছড়িমুখ ধর্মোদয় বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্ম তিলক ভিক্ষুকে মহাসস্থবির হিসেবে বরণ করা নেওয়া হয়। এসময় সকল দায়ক দায়িকার পক্ষ হতে বিহার পরিচালনা কমিটি এই ধর্মীয় গুরুকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
রনেল চাকমা ও কোকোলা চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয় বিকাশ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক বৃষকেতু চাকমা, ইউপি সদস্য রত্ন দ্বীপ চাকমা, কার্বারী মনি চাকমা ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দায়ক-দায়িকাবৃন্দ