আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশকয়েটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। নির্বাচনে আলোচনায় এখন ছাত্রলীগের এসব সাবেক নেতারা। এবারের ইউপি নির্বাচনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা দলীয় ফোরামে আলোচনায় রয়েছে। যেকারণে ছাত্রলীগের এসব নেতারা নড়েচড়ে বসেছেন।
বিশেষ করে উপজেলার ১০নং বগুড়া ইউনিয়নে মনোনয়ন চাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও জেলা যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল। তিনি ইউনিয়ন নির্বাচনে এবার অংশ গ্রহণ করবেন বলে এলাকায় প্রস্ত্রুতি নিয়েছেন। তার ইউনিয়নের প্রতিটা গ্রামে গড়ে তুলেছেন সামাজিক দল ও বিশাল কর্মীবাহিনী। এই ইউনিয়রে তিনি জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছে। নেতৃত্বের দক্ষতা তাকে অনেক আগেই পরিচিত করেছে ভালো নেতার কাতারে। জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে সামলাচ্ছেন অনেক দায়িত্ব। এছাড়া দিন রাত এলাকায় পরিশ্রম করছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।
উপজেলার ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়ন থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আহমেদ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক প্রত্যাশা করছেন। তিনি এবার ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রণন করবেন। তারুণ্য দীপ্ত নেতৃত্ব গড়তে তার কাতারে অনেকেই সামিল হচ্ছে। নিচ্ছেন এলাকার মানুষের খোঁজখবর। ছুটে যাচ্ছেন অসহায় মানুষের পাশে। তিনি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়তে নিরলস কাজ করবেন। এমনটি তার প্রত্যাশা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি উমেদপুর ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য, যুবসমাজের আইকন আবুজার গিফফারী গাফফার। মির্জাপুর ইউনিয়নবাসী এবার ইউপি নির্বাচনে তাকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই। প্রতিনিয়ত ইউনিয়নের প্রতিটা গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন আবুজার গিফারী গাফফার।
ইউনিয়নের সাধারণ ভোটরারা বলেন, আবুজার গিফফারী গাফফারের মত সৎ আদর্শবান একজন মানুষকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই, সাধারণ মানুষের বিপদ আপদে ছুটে আসেন আবুজার গিফফারী গাফফার, তাই সাধারণ মানুষের চাওয়া আবুজার গিফফারী গাফফার’ হবে এই মির্জাপুর ইউনিয়নের কর্ণধার।
৯নং মনোহরপুর ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। তিনি দীর্ঘ মেয়াদে উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের জন্য তার জীবন যৌবন শপে দিয়েছেন। হত্যার স্বীকার হয়েছে তার বাবা। সব সময় আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
৬নং সারুটিয়া ইউনিয়ন থেকে দলীয় মনোয়ন চান সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার কাইসার টিপু।
৫নং কাচেরকোল ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক মো: গোলাম মোস্তফা। এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে অনেক সময় নগদ অর্থ’সহ সব ধরনের সহযোগীতা করেন। প্রতিনিয়ত নিচ্ছেন এলাকার মানুষের সুখ দুঃখের খবর। গোলাম মোস্তফা করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবাই নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স ফ্রী সার্ভিস দিয়েছে। ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তার ইউনিয়নের বেশকিছু অবহেলিত রাস্তা সংস্কার করে উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। তার এ ধরনের কর্মকান্ড জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইউনিয়নবাসী তাকে এবার নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।
এছাড়াও নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে নেমেছে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি এম রিপন খান। তিনি এবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। দিনরাত ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছেন। হাটে বাজারে করে যাচ্ছে গণসংযোগ।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা। দক্ষ নেতৃত্ব তৈরী ও দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মুল্যায়ন এখন জরুরী বলেও অনেকে মনে করেন অনেকে।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহভাপতি তৈয়ব আলী জোয়ার্দার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ও ২০০১ সাল পরবর্তী ছাত্রলীগের রাজনীতি খুব কঠিন ছিল। এই দুই সময়ে যারা ছাত্রলীগ করেছে তাদের জিয়া, এরশাদ ও বিএনপি সরকারের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা সহ্য করতে হয়েছে। এখন জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা প্রবীণ হয়েছেন ছাত্রলীগ থেকে আসা পরীক্ষিতদের আওয়ামী লীগে নিয়ে আসতে হবে। জনপ্রতিনিধি তৈরি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়। ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের প্রথম বিজয় ছিল সরকারি কেসি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। এখন সময় এসেছে পরীক্ষিত নেতাদের মুল্যায়ন করা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও কেসি কলেজের এজিএস বগুড়া ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন ইউপি নির্বাচনে কোন অনুপ্রবেশকারী, সরকারী অনুদান বিক্রয়কারী, আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীরা যেন নৌকার মনোনয়ন না পায়। সৎ যোগ্য, জনপ্রিয়তা দেখে নৌকার মনোনয়ন দিবেন। তিনিি আরো বলেন সারাদেশে যেভাবে নৌকার পরাজয় হচ্ছে, এতে করে নৌকা প্রতীকের সম্মান ক্ষুন্নু হচ্ছে। তাই মনোনয়নের জন্য আরো যাচাই বাছাই প্রয়োজন।
উপজেলার এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, হাট-বাজার ছোট-বড় সকলের মুখে একই কথা আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তারা সাবেক ছাত্রলীগের এসব নেতাদের নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত