ইট তৈরির মৌসুম শুরুর দু’মাসেও উৎপাদনে যেতে পারেননি, ফরিদপুরের ভাটা মালিকরা। তারা বলছেন, এবছর জ্বালানির সংকট রয়েছে; সেই সাথে কয়লার দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তাই হাত গুটিয়ে বসে আছেন ভাটা মালিকরা। এ অবস্থায় বেকার দিন কাটছে জেলার শতাধিক ইটভাটার ২০ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের। জীবিকা নিয়ে রয়েছেন অনিশ্চয়তায়।
ফরিদপুর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ইটভাটা রয়েছে ১২০টি। এগুলোর মধ্যে ১১৩টি কয়লানির্ভর। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকেই এসব ভাটায় কাজ শুরু হয়। কিন্তু জ্বালানি সংকটে নভেম্বর মাসেও ইট উৎপাদনে যেতে পারেননি ভাটা মালিকরা।
তারা জানান, গতবছর ইট পোড়ানোর জন্য ব্যবহৃত কয়লার টন প্রতি ক্রয়মূল্য ছিল ৮ থেকে ৯ টাজার টাকা। এক বছরের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা। একইসাথে রয়েছে কয়লার সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ভাটা চালু করতে ব্যবসায়িক ঝুঁকির মুখে মালিকরা।
এসব ইটভাটার সাথে অন্তত ২০ হাজার শ্রমিকের আয়-রোজগারের সম্পর্ক। মৌসুম শুরুর দু’মাসেও ভাটা চালু না হওয়ায়, মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
সংকট সমাধানে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভাটা মালিকরা। বাড়তি দামে কয়লা কিনে ইট উৎপাদন করতে হলে নতুন ইটের দাম দ্বিগুণ হবে বলেও জানান তিনি।