মাগুরার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ভোটারদের অনেকের ধারণা মূলত লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত আলমগীর হোসেন তুষারের নৌকা মার্কা ও বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম টিপু শিকদারের আনারস মার্কার। প্রচারণার শেষ মুহূর্তেও প্রত্যেক প্রার্থী নির্বাচনী এলাকার আনাচে কানাচে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। শুরুতে আলমগীর হোসেন তুষার অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে গ্যাপ কিছুটা পুরণ করতে পেরেছেন বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ তুষার মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক চলাফেরা করেন, অন্য সময় ভোটারদের কোন খোঁজ রাখেন না, সুখে দুঃখে ও প্রয়োজনের সময় তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না, সে কারণেই এলাকাতে তার কর্মীবাহিনী অতটা শক্তিশালী নয়। এছাড়া এলাকার মুরব্বিদের অভিযোগ তুষার যথাযথ নেতাকর্মী চিনতে ভুল করে, আমুড়িয়া বাজারের পাশে নায়েব আলী নামে একজন অভিযোগের সুরে বললেন " তুষার ভাই হুজুর থেকে হুজুরের বদনাকে বেশি মূল্যায়ন করে"।
টিপু শিকদারের মূল শক্তির উৎস হচ্ছে এলাকার জনগণ যাদের সাথে তিনি বসবাস করেন ও দিনরাত উঠাবসা এবং চলাচল করেন, সুখ দুঃখে সবার খোঁজ খবর নেন, এই কারণে টিপু শিকদারের কর্মীবাহিনী বেশ শক্তিশালী। এলাকাবাসী দাবি করেছেন টিপু চেয়ারম্যান হলে এলাকায় যেন মারামারি ও কাইজা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ মূলত শান্তিপ্রিয়, রাত হলে সবাই শান্তিতে ঘুমোতে চায়।
এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, গতবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন, কিন্তু এবার জনগণ তার দিক থেকে খানিকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে । এলাকার উন্নয়ন আশানুরূপ হয়নি বলে জনগণ মনে করেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল আমুড়িয়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠের বেহাল রাস্তা দেখে, যেটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র কয়েকশ গজ দূরে অবস্থিত। এলাকার মুসল্লিদের মাঝে ঈদগাহ রাস্তার জীর্ণশীর্ণ অবস্থা তাদের মনে দাগ কেটেছে। এছাড়া বড়শলই এলাকার পথঘাটের অবস্থাও খুব একটা ভালো না।
এছাড়া চরমোনাই পীর মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মোঃ মফিজুর রহমান হাতপাখা মার্কা নিয়ে ভোটারদের মাঝে আলোচনায় আছেন। তিনি এলাকার সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এলাকার মুরুব্বি ও ধর্মভীরু মানুষের সমর্থন তিনি পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া আর একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল ইসলাম মিলন ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি নিজ গ্রাম ও আশেপাশে এলাকার বেশকিছু ভোট আয়ত্ত করতে পারবেন বলে সবাই মনে করছেন।
তবে সকল স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। অবাধ সুষ্ঠু হলে সবাই নির্বাচন মেনে নেবে। এলাকাবাসীদের বক্তব্য হচ্ছে "তৃণমূল পর্যায়ে ভোট কারচুপি কারো কাছে কাম্য নয়, আরেকটি জগদল কেউ চায়না"
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত