সারাদেশের ন্যায় গুইমারা উপজেলায় দ্বিতীয়ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউপি নির্বাচন। গুইমারা উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইউপির অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনায়।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন। তারা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের বয়ানসহ ইউনিয়নে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা দলবেঁধে প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকা সরগরম করে তুলছেন। তারা অটোরিকশা, ইজিবাইকে সিএনজিতে মাইক বেঁধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা হলেন গুইমারা ইউনিয়নে নির্মল নারায়ণ ত্রিপুরা , হাফছড়ি ইউনিয়নে মংশে চৌধুরী সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়নে রেদাক মারমা, নৌকা প্রতীক। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্যের প্রার্থীও মাঠে-ঘাটে কোমর বেঁধে অবিরাম প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনী সময় ঘনিয়ে আসার সাথে ইউপিগুলোর বাজার, অলি-গলি, চায়ের দোকান, হোটেল, বিভিন্ন স্থাপনা ও বসত বাড়ির সামনে পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে। প্রার্থীরা সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অন্যান্য প্রার্থীরাও বলেন জনগণের ইচ্ছাতেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তাই জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয় করবেন এ কামনা করছেন তারা।
এদিকে নারী প্রার্থীদের সাথে মাঠে নেমেছেন স্বামী সন্তানরাও। তেমনি পুরুষ প্রার্থীদের সাথেও স্ত্রী সন্তানরা বসে নেই। সবার আশা ভোট যুদ্ধে জিততেই হবে। তবে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেয়ার ব্যাপারে কোনও প্রার্থীকেই নিরাস করছেন না। প্রার্থীরা ব্যবসায়ী ভোটারদের দোকানে গিয়েও ভোট প্রার্থনা করছেন। শুধু তাই নয় মাঠে কর্মরত শ্রমিকদের কাছেও যাচ্ছেন ভোটের আশায়। দিচ্ছেন নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি।
বড়পিলাকে আজহার নামে এক ভোটার জানান, ভোট আসলে প্রার্থীদের আনা-গোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে, সে মোতাবেক কাজ করে না। তারা নির্বাচনের পর সব ভুলে যান।
ভোটার শাহীন ভূইয়া জানান, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। কিন্তু ইউনিয়নের তেমন কোন উন্নয়ন হয় না।
হাফছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) মংশে চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবো এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো।
ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী (মোটরসাইকেল প্রতীক) বলেন, জনগণের ইচ্ছাতেই প্রার্থী হয়েছি। আশাকরি জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে জয় করবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত