ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ ও দেবরের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। একই সময়ে উভয়কে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও মামলা অপর দুই আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরের ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় এই আদেশ প্রদান করেন।
রায় ঘোষনার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজা প্রাপ্তরা হলো, আলফাডাঙ্গার ধলাইরচর গ্রামের ছেকেন্দার খানের ছেলে শাহাবুদ্দিন খান ও তার ছোট ভাই সুমন খান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাড. স্বপন পাল জানান, ২০১১ সালের ২৭ জুন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর গ্রামে আসামি সাহাবুদ্দিন খান ও সুমন খানসহ পরিবারের অন্য সদস্য আছিয়া বেগম এবং ঝুমুর বেগম মিলে বাদি একই গ্রামের কবির মোল্লার মেয়েকে ( মনিরা খানম) পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরের মধ্যে গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন দেয়।
পরে মনিরার চিৎকারের পাশের বাড়ি লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় মনিরার পিতা বাদি হয়ে ২০০১১ সালের ৩ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানায় নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
এই মামলায় পুলিশ ২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে র্চাজশীট দাখিল করে। মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (২৬ অক্টোবর) মঙ্গল রায় ঘোষনা করেন।
পিপি বলেন, বিজ্ঞ বিচার ‘ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ ২০০০ এর ৪(১) ধারায় মনিরার স্বামী শাহাবুদ্দিন খানকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন। একই সময়ে আদালত শাহাবুদ্দিনের ছোট ভাই ( মনিরার দেবর) সুমন খানকে ২০০০ এর ৪(১)/৩০ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেছেন।
এছাড়াও মামলার অপর আসমী আছিয়া বেগম ও ঝুমুর বেগমকে খালাস প্রদান করেন।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত