রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র ঝগড়াবিলস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার (২৪অক্টোবর) “খ” ইউনিটের (জিএসটি) গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেনীতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি’র নির্দেশনায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেনীতে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য “তথ্য প্রদান ও শিক্ষার্থী সহায়তা কেন্দ্র”র আওতায় নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের কর্মসূচির মধ্যে ছিলো: তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচিতির জন্য সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা, শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, অভিভাবকদের বিশ্রাম গ্রহণের ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে সংগঠনটি।
এসময় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র শাখা ছাত্রলীগের জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইদুজ্জামান পাপ্পু, কর্মী শাহারাব হোসেন, আসাদ খান ইফাত, সামিউল আলম রণ, বিশ্বজিৎ শীলসহ রাবিপ্রবি’র শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র শাখা ছাত্রলীগের জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইদুজ্জামান পাপ্পু জানান, ‘ভর্তিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী যেন অসদুপায় অবলম্বন না করে সেজন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান করছি।’ দুর্নীতি এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, এই সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হয়েছে। ছাত্রলীগের এ ধারাবাহিকতা সারা দেশের ছাত্রলীগের ন্যায় অব্যাহত থাকবে।
নেতৃবৃন্দরা আরো জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো মোটামুটি অসুদপায়ের বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এবারও চাইব যে, সব ধরনের ডিজিটাল জালিয়াতি বন্ধের মাধ্যমে এবং সুন্দর ও সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের হেনস্থার স্বীকার না হয় সেজন্য নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে “বি” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ৩২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের প্রতি রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র শাখা ছাত্রলীগের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।