জুরাছড়ি সুবলং শাখা বনবিহারে আজ ২৩ অক্টোবর শনিবার ২৯ তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাস বর্ষাব্রত শেষে এসব কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী বছরে একবার কঠিন চীবর দান করা যায়।
বৌদ্ধ ধর্মালম্ভীগণ পূণ্যের আশায় প্রতি বছর অধীর আগ্রহী অপেক্ষায় থাকেন। সাধারণত ভিক্ষুদের ত্রি-চীবর হলো চার খন্ডের পরিধেয় বস্ত্র। প্রতি বছর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিনমাস বর্ষাবাস শেষে কঠিন চীবর দানোৎসব আয়োজন করা হয়। এতে বৌদ্ধ ধর্মের রীতিনীতি অনুয়ায়ী ভিক্ষুদের বস্ত্র তৈরী করার জন্য প্রথমে তুলার বীজ বোনা হয়,পরে তুলা সংগ্রহ করা হয়,তা থেকে সুতা কাটা হয়,সেই সুতা রং করে ধর্মীয় আচার- অনুষ্ঠান মেনে ২৪ ঘন্টায় কাপড় তৈরী করে উৎসবের মধ্যেদিয়ে ভিক্ষু সংঘের মাঝে দান করা হয়।
দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আখতারুজ্জামান ফয়সাল পিএসসি, বিশেষ অথিতি জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ রকিবুল হাসান পিএসসি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য প্রবর্তক চাকমা, সাবেক সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস আলপনা চাকমা, ১ নং জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমাসহ কঠিন চীবরদান উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মহান দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে হাজারো উপস্থিত পূণ্যার্থীদের মাঝে মহামানব গৌতম বুদ্ধের অমৃতময় স্বধর্ম দেশনা প্রদান করেন সুবলং শাখা বনবিহারে অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধ শ্রী মহাস্থবির সহ রাঙ্গামাটি রাজবনবিহার থেকে আগত জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুগণ।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত