প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অবৈধভাবে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি এলাকার বাসিন্দা ভূমিদস্যু জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সালাউদ্দীন গং নামের দুই যুবক। এতেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন,শহরের দেওয়ান পাড়া বাসিন্দা নিগার সুলতানার পরিবার।
শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের বনরূপাস্থ একটি রেস্তোরায়ঁ ভূমিদস্যু জাহিদুল ইসলাম জাহিদ এবং সালাউদ্দিন গং কর্তৃক রেকর্ডীয় জায়গা অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন,নিগার সুলতানার স্বামী মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরী।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বিগত ১১ অক্টোবর তাদের ক্রয়কৃত জায়গায় ইট,বালু ও কংকর সহ ইত্যাদি মজুদ করেছে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সালাউদ্দীন। কিন্তু এতে বাঁধা প্রদান করলে তাকে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেন ভূমিদস্যুরা। পরে রাঙ্গামাটি কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করেন। এমতাবস্থায় ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার আদেশ অমান্য করে মজুদ করা ইট,বালু,কংকর ও সিমেন্ট দিয়ে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে জাহিদুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন। এতে স্বামী মোঃ ইব্রাহিম ও স্ত্রী নিগার সুলতানা বাঁধা প্রদান করলে তাদের প্রাণনাশে হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ভূমিদস্যু জাহিদুল ইসলাম জাহিদ এবং সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানা গেছে, ভূমিদস্যু সালাউদ্দীনের দাদা আব্দুল জব্বার।
রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ির দেওয়ান পাড়াস্থ তাঁর ৪ একর রেকর্ডী জায়গা ছিল। ঔখান থেকে ১৯৮৯ সালে আব্দুল জব্বার সওদাগর থেকে নিগার সুলতানার পিতা মোঃ মনোয়ার তবলছড়ির দেওয়ান পাড়াস্থ ২ একর রেকর্ডী জায়গা ক্রয় করেন। ৪ একর জায়গার মধ্যে ২ একর জায়গায় প্রতারণা করে বেশ কয়েকজন মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করছে ভূমিদস্যুরা।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে নিগার সুলতানা,স্বামী মোঃ ইব্রাহিম এবং পারভেজুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত