ইউপিডিএফের সুযোগসন্ধানী রাজনীতি
বিশ্লেষকদের মতে, পার্বত্যাঞ্চলে সেনা নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হওয়ার প্রতিটি সময় ইউপিডিএফের মতো সংগঠনগুলো তাদের অবস্থান শক্ত করেছে। তারা স্থানীয় জনপদের জমি, কর আদায় ও তথাকথিত ‘শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন’ ইস্যুতে প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলছে।
সেনা নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হলে কী হয় বিশ্বে এর নজির ভুরি ভুরি । নিরাপত্তা বিশ্লেষক শাহীদুজ্জামান উদাহরণ টেনে বলেন, পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশীয় সেনা নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হওয়ার পর স্থানীয় মিলিশিয়া সংগঠন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল, পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দেশটি আলাদা হয়ে যায়। দক্ষিণ সুদানেও সেনা শাসনের বিভক্তি ও রাজনৈতিক উদাসীনতার সুযোগে বিদ্রোহীরা স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে। কসোভো ও চেচনিয়ায়ও কেন্দ্রীয় সামরিক নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হওয়ার সুযোগে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ‘আন্তর্জাতিক সহানুভূতি’ আদায় করে নিজেদের স্বাধীনতার পথে এগিয়েছে।