নিজস্ব প্রতিবেদক
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অবশেষে রিমান্ডে নেয়া হলো কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে র্যাব তাদের জেলা কারাগার থেকে নিয়ে গেছে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৭ আগস্ট) আদালতের নির্দেশের ১২ দিন পর ওসি প্রদীপ, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে রিমান্ডে নেয়ার ঘোষণা দেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।
তিনি জানান, সিনহা হত্যাকাণ্ডের দিন পুলিশের জব্দ করা ২৯টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করেছেন তারা।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শ্যামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি তদন্ত শুরুর পরপরই কক্সবাজারে যান আইজিপি ও সেনাপ্রধান।
৫ আগস্ট টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি।
ওই দিনই দুই দফায় শুনানি শেষে তিন পুলিশ কর্মকর্তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৪ আগস্ট এএসআই লিটনসহ চার পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে হেফাজতে নেয় র্যাব। তবে বারবার পেছাতে থাকে পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া।
অবশেষে সোমবার কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, মঙ্গলবার এই তিন কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হবে। সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের জব্দ করা ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কসহ ২৯টি ডিভাইস নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত