দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাও মূর্তি বা পটে পূজা করা হয়। বেশিরভাগ দেব-দেবীর পূজা দিনে অনুষ্ঠিত হলেও শ্যামাপূজা বা কালীপূজা হয় মধ্যরাতে, তান্ত্রিক বা ব্রাহ্মণ্যমতে আরাধনার মধ্য দিয়ে। এ উপলক্ষে মন্দিরে ও ঘরে ঘরে দেবীর পূজার পাশাপাশি অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি এবং ধর্মীয় সংগীতের আয়োজন করা হয়েছে।
শ্যামাপূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হবে। এই আলো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণময় শক্তির বিজয়ের প্রতীক। অনেকে এ দিন স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের মঙ্গল কামনায় শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বালন করেন।
রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির এবং পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার ও তাঁতীবাজারের বিভিন্ন মণ্ডপে সাড়ম্বরে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উদযাপিত হচ্ছে।এই শুভ উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক। এই উৎসবের আলো যেন সকলের জীবন থেকে অন্ধকার দূর করে দেয়।”