• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজা জব্দ দেবিদ্বারে জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার ৬১ হাজার উদ্বাস্তু পার্বত্য বাঙালি পরিবারের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কে? লংগদুতে রাজনগর বিজিবি জোনের উদ্যোগে ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলা অনুষ্ঠিত দীঘিনালায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের দিনব্যাপী ডমিনেন্স পেট্রোলিং কাপ্তাই বন্যহাতির আক্রমণে নিহত ১, আহত ১ অটোরিকশা ভাংচুর দীঘিনালায় দুই বসতবাড়িতে ভয়াবহ চুরি লামায় ইটভাটা অভিযান রুখতে কাপনের কাপড় পরে শ্রমিকের রাস্তা অবরোধ লামায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীর নির্বাচনী পথসভা পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী রক্ষার স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা মানিকছড়িতে শিক্ষার মানোন্নয়নে মুক্ত আলোচনা অনুষ্টিত দীঘিনালায় মেধাবৃত্তি প্রদান ও গুণীজন সংবর্ধনা: শিক্ষাঙ্গনে আনন্দঘন আয়োজন

শরণার্থী টাস্কফোর্স সভা আয়োজন নিয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে পিসিএনপি

নিউজ ডেস্ক:  / ১৪৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি প্রতিনিধি ছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগকৃত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে “ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স” সভা আয়োজনের প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি)। সংগঠনের পক্ষে এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোঃ আলমগীর কবির।

 

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে সূত্র অনুযায়ী টাস্কফোর্স-এর ১২তম সভা আগামী ২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে সিনিয়র সচিব মর্যাদায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত সুদত্ত চাকমা। অথচ টাস্কফোর্সে ফ্যাসিস্ট পলাতক আওয়ামী লীগ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় একমাত্র বাঙালি প্রতিনিধি এডভোকেট মহিউদ্দীন কবীর পদত্যাগ করলে ফ্যাসিস্ট নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যরা পদত্যাগ করেননি। অপরদিকে শূন্যপদে নতুন করে কোনো বাঙালি সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

 

এ অবস্থায় বাঙালি প্রতিনিধিবিহীন একটি পক্ষপাতদুষ্ট সভা আহ্বান করা সংবিধান ও প্রশাসনিক ন্যায়ের পরিপন্থী।

 

সংগঠনের মহাসচিব মোঃ আলমগীর কবির মনে করে একই সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যখন নিজেকে বৈধ মনে করেন, অথচ বাঙালি সদস্য ‘ফ্যাসিস্ট সরকারি নিয়োগ অবৈধ’ বলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, তখন এই দ্বৈতনীতি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের নীতি ফ্যাসিবাদী ও বৈষম্যমূলক।
বিবৃতিতে তিনি দাবি করে বলেন- আমাদের কাছে তথ্য আছে, আসন্ন সভায় অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বাঙালিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, যা পার্বত্য অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। আমরা এই নীলনকশা বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রাম বাসী রয়েছেন ৫৭,৬৯২ আর অ-বাঙ্গালী তথা উপজাতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছেন -৮৯,২৮০ (তথ্য সূত্রে সাংবাদিক এইচ এম ফারুক)।
উক্ত গুচ্ছগ্রাম বাসীদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ একর করে জায়গা দিয়ে তাঁদেরকে পূর্ণবাসন করতে হবে।

 

পিসিএনপি’র দাবিসমূহ:
১, সকল গুচ্ছ গ্রাম বাসীদের পুর্নবাসন করতে হবে।
২। অবিলম্বে টাস্কফোর্স সভা স্থগিত করতে হবে।
৩। ফ্যাসিস্টের নিয়োগপ্রাপ্ত টাস্কফোর্স বাতিল করে নতুন করে গঠন করতে হবে।
৪। বাঙালি প্রতিনিধি পুনঃনিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত টাস্কফোর্সের কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে না।
৫। অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু তালিকা থেকে বাঙালিদের নাম বাদ দেওয়ার যে কোনো পদক্ষেপ কঠোর ভাবে প্রতিহত করা হবে।
৬। পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্ঠীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ