রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ রাঙামাটির নানিয়ারচরে ঐতিহ্যবাহী রত্নাঙ্কুর বন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চিবরদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ই অক্টোবর থেকে শুরু হয় ২৭তম এই শুভ দানোত্তম কঠিন চিবরদান।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান পিএসসি।
রত্নাংকুর বন বিহার অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু।
রত্নাঙ্কুর বন বিহার পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ঊষা কিরণ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা (বক্তব্য) প্রদান করেন, ফেরোমন আন্তর্জাতিক বন ভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ ভৃগু মহাস্থবির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান বলেন, কঠিন চিবরদান আমার কাছে শুধু একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানই মনে হয়না। এটি মানুষে মানুষে সেতু বন্ধন হিসেবেও কাজ করে। এই অনুষ্ঠানে এসে এখানকার মানুষের মধ্যে মেল বন্ধন আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষ আমরা একত্রিত হই। এবং একত্রে মিলে এই অনুষ্ঠান টি পালন করছি। এই রত্নাঙ্কুর বন বিহার আমাদের সামাজিক এ ধর্মীয় অনেক কাজে অংশগ্রহণ করছে। রত্নাঙ্কুর বন বিহার শুধু ভক্তদের জন্যই কাজ করে না। এই বিহার সমাজের লোকেদের শান্তি শিক্ষা ও সেবা নিয়ে কাজ করে। যা সম্প্রীতি ও উন্নয়ন কে তরান্বিত করে সহায়তা করে।
বক্তব্যে প্রধান দায়ক রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু বলেন, ৫ই আগষ্টের পরে দেশ নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছে। আমিও এই এলাকার উন্নয়নে মানুষের পাশে থাকতে চাই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দীর্ঘদিন রাজনীতি করে আসছে। আগামীতে আশা করছি আমি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমি ও আমার কর্মী বাহিনী এই এলাকার শান্তি সম্প্রীতি শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে। আগামী প্রজন্ম কে নতুন ও নিরাপদ একটা জীবন যাতে দিতে পারি সে লক্ষ্যে আমি কাজ করব বলেও জানান জেলা বিএনপির এই নেতা।
অনুষ্ঠানে দূর দুরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থী ও দায়ক দায়িকাগণ কঠিন চিবরদান উপলক্ষে বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরু দান ও নানাবিধ দান সহ মহতী পূণ্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির ও বশিষ্ঠ মহাস্থবির, রত্নাঙ্কুর বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কমল কান্তি দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক প্রানময় চাকমা, রাঙামাটি জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক দেবজ্যোতি চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি রণ বিকাশ চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হাওলাদার, রাঙামাটি জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফনিন্দ্র চাকমা, রাঙামাটি জেলা কৃষক দলের সভাপতি অলোক প্রিয় চৌধুরী রিন্টু, রাঙামাটি জেলা জাসাস দলের সাধারণ সম্পাদক পতন চাকমা, কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ ফোরামের সদস্য সচিব পার্থ প্রতিম বড়ুয়া অপু, রাঙামাটি জেলা জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রবেট বড়ুয়া, রাঙামাটি জেলা বৌদ্ধ ফোরামের সভাপতি রতন বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি পৌর মৎস্যজীবি দলের সভাপতি দীপক চাকমা, প্রস্তাবিত সদর উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি জীবন বিকাশ চাকমা ও রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পুণ্যার্থী, দায়ক ও দায়িকা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।