• মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পানছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে অস্ত্র, গুলি ও চাঁদার রশিদসহ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী আটক লংগদুতে বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল জব্দ গুইমারায় সাবেক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার খাগড়াছড়িতে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা)-র ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন দীঘিনালার শাহপরান: চাকরির পেছনে নয়, কৃষিতেই সফলতার স্বপ্ন রাজস্থলীতে কাপ্তাই সেনাজোন কর্তৃক ৩০টি পরিবারকে বিনামূল্যে ব্ল্যাক-বেঙ্গল ছাগল হাঁস ও মুরগী বিতরণ দেবিদ্বারে জামায়াতের এমপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদের জনসংযোগ খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে দুই আসামি পলায়ন, একজন আটক অস্ত্রসহ চাঁদাবাজির সময় ইউপিডিএফ সদস্যকে ধরে গণপিটুনি, সেনা হেফাজতে পুলিশে সোপর্দ গোয়ালন্দে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত শার্শায় ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিপাহি-জনতার বিপ্লব দেশপ্রেমের এক অনন্য নজির –ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী

শহীদ জিয়ার আদর্শের ধারায় বেগম জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার- অর্থনৈতিক মুক্তি এবং নারী জাগরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ / ১৩০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

মোঃ সহিদুল ইসলাম সুমন

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের আদর্শকে পাথেয় করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আগমন ছিল এক ঐতিহাসিক অনিবার্যতার ফল, যেখানে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের আপোসহীন কাণ্ডারি হিসেবে সামরিক শাসন কবলিত একটি দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, স্থবির অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করে তাকে মুক্তবাজারের পথে চালিত করেছিলেন এবং সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অংশ নারী ও শিক্ষাবঞ্চিত মানুষকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের মূলস্রোতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা এবং মানবিকতার ছাপ রেখেছিলেন, যা তাঁকে আধুনিক বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের অন্যতম প্রধান স্থপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাঁর একাধিক শাসনামলে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং তার যুগান্তকারী সাফল্যগুলোই এই নেতৃত্বের দক্ষতার প্রমাণ দেয় । তিনি ১৯৮৩ সালের মে মাসে বিএনপির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। স্বৈরাচারী এরশাদ, যখন ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আয়োজন করেন, তখন বেগম জিয়া সাহসিকতার সাথে তা বর্জন করে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক নৈতিক প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেন, যা তাঁকে জাতীয় রাজনীতিতে আপোসহীন নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে । তাঁর অটল নেতৃত্বে বিএনপি সাত-দলীয় জোটের মাধ্যমে ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এবং ছাত্রদল নেতা নজির উদ্দিন জেহাদের আত্মত্যাগের পর তাঁর আহ্বানে যখন সম্মিলিত বিরোধী পক্ষ চূড়ান্ত আন্দোলনের পথে নামে, তখন জেনারেল এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন । গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই প্রক্রিয়ায় তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব এবং সামরিক শাসনের প্রতি শূন্য সহনশীলতা দেশের সাংবিধানিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

১৯৯১ সালে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পরপরই তাঁর দূরদর্শী মনোযোগ ছিল ভঙ্গুর অর্থনীতিকে গতিশীল করার দিকে এবং সেই লক্ষ্যেই তিনি ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে অত্যন্ত সাহসী অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতি গ্রহণ করেন, যা ছিল তাঁর সরকারের অন্যতম প্রধান দূরদর্শী অর্জন । এই সময়কালে তিনি মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট (VAT) প্রবর্তন করেন, যা রাষ্ট্রীয় রাজস্ব আহরণের আধুনিকীকরণ করে এবং অর্থনীতির কাঠামোগত ভিত্তি মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন এবং ১৯৯৩ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন । পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য বেসরকারীকরণ বোর্ড গঠন করেন। এই নীতিগত সংস্কারের ফলেই বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) আকর্ষণের পথ সুগম হয়, বিশেষত যখন বাংলাদেশ ১৯৯৩ সালে শুল্ক ও বাণিজ্য সম্পর্কিত সাধারণ চুক্তিতে (GATT) স্বাক্ষর করে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ঢাকার কাছাকাছি নতুন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (EPZ) স্থাপন করা হয় । তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক দূরদর্শিতার ফলস্বরূপ, ১৯৯১ সালে যেখানে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল সামান্য, সেখানে নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হওয়ায় তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করে ।

বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্যের সবচেয়ে মানবিক দিকটি প্রতিফলিত হয় তৈরি পোশাক শিল্প (RMG) খাতে, যেখানে তাঁর শিল্পবান্ধব নীতি ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (EPZ) উন্নয়নের মাধ্যমে এই খাতটি অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, যার সরাসরি ফলস্বরূপ তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের, বিশেষ করে নারীদের, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়।

১৯৯০ সালে দেশে যেখানে ৮৩৪টি পোশাক কারখানা ছিল, তাঁর প্রথম মেয়াদের শেষে ১৯৯৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে ২,৩৫৩-তে পৌঁছায় এবং একই সময়ে এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সাড়ে তিন গুণ বৃদ্ধি পায় । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে পোশাক খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় ২৯ শতাংশ, যা পরবর্তী দশকে একক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছিল অর্থাৎ এই সময়ে নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অভূতপূর্ব গতি এনেছিল এবং এই নতুন সৃষ্ট কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রধান সুবিধাভোগী ছিলেন দেশের গ্রামীণ নারীরা । এই নারী শ্রমিকদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা লাভের মাধ্যমে তাঁদের পরিবার ও সমাজে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, যা সরাসরি নারীর ক্ষমতায়নের ধারণাকে বাস্তব রূপ দেয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নারীর সামাজিক মুক্তি ও ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা ছিল বেগম জিয়ার সরকারের মানবিক নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পোশাক শিল্পে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তিনি দেশের অন্যতম সফল সামাজিক উদ্যোগ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম এর প্রতি রাষ্ট্রীয় সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং Palli Karma Sahayak Foundation (PKSF)-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে সহায়তা করে দারিদ্র্য বিমোচনকে একটি জাতীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে অনেক কিছু গ্রহণ করলেও, বিশ্বকে দিয়েছি ক্ষুদ্রঋণের মডেল”, যা দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের প্রতি তাঁর গভীর মানবিকতা ও উন্নয়ন নীতিতে অন্তর্ভুক্তির দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।

বেগম জিয়া শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন এবং দেশকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল এই খাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ দেওয়া । তাঁর সরকারের সময়েই দেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করা হয়, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি মজবুত করার জন্য অপরিহার্য ছিল । এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর শিশুদের স্কুলে ধরে রাখার জন্য তিনি এক মানবিক কৌশল গ্রহণ করেন, যার নাম ছিল শিক্ষার জন্য খাদ্য (Food for Education) কর্মসূচি, যা ১৯৯৩ সালে চালু করা হয় । এই কর্মসূচিটি ১৯৯৬ সালের মধ্যে ১,২৫৫টি ইউনিয়নে বিস্তৃত হয়, যা গরিব বাবা-মাকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত করে, ফলে দারিদ্র্য ও শিক্ষাবঞ্চনার চক্র ভাঙতে এই উদ্যোগ এক মৌলিক ভূমিকা রয়েছে। এই নীতিগুলোর ফলে দেশের সার্বিক সাক্ষরতার হারে দ্রুত উন্নতি আসে, যেখানে ১৯৯১ সালে প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৩৫.৩২% , তা ২০০১ সালের মধ্যে ৪৭.০% এ উন্নীত হয়, এবং তাঁর ২০০১-০৬ মেয়াদে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির গতি বছরে ৪.৫% পর্যন্ত পৌঁছায়, যা প্রমাণ করে যে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি স্থাপনকারী নীতিগুলো দীর্ঘমেয়াদী ফল দিতে শুরু করেছিল এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করাই ছিল তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ।

বেগম খালেদা জিয়ার পদক্ষেপগুলোর মধ্যে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের উদ্যোগ ছিল সবচেয়ে বৈপ্লবিক ও সুদূরপ্রসারী, কারণ তিনি দূরদর্শিতার সাথে উপলব্ধি করেছিলেন যে সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অন্ধকারে রেখে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়, এবং এই উপলব্ধি থেকেই তিনি মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা এবং শিক্ষা “উপবৃত্তি” চালু করেন । উপবৃত্তি প্রদানের এই কৌশলটি কেবল শিক্ষাকে সহজলভ্যই করেনি বরং গ্রামীণ সমাজে বাল্যবিবাহ এবং মেয়েদের বয়ঃসন্ধির কারণে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে গৃহস্থালীর কাজে যুক্ত হওয়ার মতো সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধাগুলো অতিক্রম করতে সাহায্য করেছিল, যা বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোর জন্য ছিল এক বড় অর্জন । এই উদ্যোগ এতটাই ফলপ্রসূ হয় যে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও তা প্রশংসিত হয়, যেখানে ১৯৯৩ সালে ‘দি নিউ ইয়র্ক টাইমস’ মন্তব্য করে যে, বেগম জিয়া নারী শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের প্রচারে বেনজির ভুট্টোর চেয়েও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করেছেন । তাঁর এই দূরদর্শী নীতির ফলে নারী শিক্ষার হারে বিশাল পরিবর্তন আসে, যার পরিসংখ্যানগত প্রমাণ সুস্পষ্ট: ১৯৯০ সালে যেখানে মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষার্থীর তালিকাভুক্তি ছিল মাত্র ৩২.৮৫%, তা ২০০৬ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০.৩৮% এ পৌঁছে যায় । শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করে তিনি ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত ১৯৯১ সালের ৫৫:৪৫ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে ৫২:৪৮-এ নামিয়ে আনেন, যা লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রগতি ছিল । শিক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য তিনি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ বছর করেন, যা সদ্য শিক্ষাজীবন শেষ করা এবং গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে দেরিতে শিক্ষা সম্পন্ন করা নারীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি করে । যদিও জাতীয় রাজনীতিতে উচ্চ পর্যায়ে নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ (যেমন সংসদ সদস্যের সাধারণ আসনে) তখনও চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং মূলত পারিবারিক সংযোগের উপর নির্ভরশীল ছিল , কিন্তু তাঁর সরকার স্থানীয় সরকার পর্যায়ে মহিলাদের জন্য ২৫% আসন সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছিল, যা তৃণমূল প্রশাসনে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রথম বড় পদক্ষেপ ছিল এবং নারীদের স্থানীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে । এই সমস্ত উদ্যোগ তাঁর মানবিকতা ও দূরদর্শিতার সম্মিলিত ফল, যা বাংলাদেশের নারীদের আজ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

শহীদ জিয়াউর রহমান পরবর্তী বাংলাদেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ছিল একটি জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এক বিস্তৃত পরিকল্পনা, যেখানে গণতন্ত্রকে কেবল পুনরুদ্ধার করাই নয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে তার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন করা, অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে মুক্তবাজার অর্থনীতির দরজা খুলে দেওয়া এবং নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষের জীবনে মানবিক পরিবর্তন আনা এ সবই ছিল তাঁর নেতৃত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর দূরদর্শী নীতি ও মানবিক পদক্ষেপগুলোই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যেখানে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। তাঁর নেতৃত্বের দক্ষতা এই কঠিন সময়ে দেশকে একটি নতুন, গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রগতিশীল পথে চালিত করতে সক্ষম হয়েছিল, যা আধুনিক বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকার হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।এদেশের গনত্নত্র, স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব যতবার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে ততবারই এই মহয়িসী নারী রক্ষার ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন এবং দেশ রক্ষায় গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রেখেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ