খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল)-এর একটি গোপন আস্তানা থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর ) ভোরে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পানছড়ি সেনা জোনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর তল্লাশি চালিয়ে আস্তানা থেকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহৃত ০১টি পিস্তল, ০১ টি ম্যাগজিন, ০২ রাউন্ড এ্যামোনিশন, ১৫ টি ব্যানার, ০২ টি ওয়াকিটকি চার্জার, ০২ টি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাহত করতে ইউপিডিএফ স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র ও ছাত্রীদের সেনা বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করে। আজকের ঘটনাসহ বিগত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার নারী এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাংলাদেশের দিকে পাচারকালে কয়েকটি পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করে। এটি পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঙ্গিত বহন করে, যেখানে অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার রোধ, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং মানবাধিকার সংরক্ষণের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় বাহিনী সন্ত্রাসবাদ দমনে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে।