• বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ জব্দ খাগড়াছড়িতে জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মানিকছড়িতে বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উদ্বোধন নবাগত ইউএনও আফরিন জাহানকে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রাজস্থলীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত এবার কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন : চালু রয়েছে সব কয়টি ইউনিট লামায় বড় ভাইয়ের শশুর বাড়ির লোকজনের হাতে ছোট ভাই খুন কৃষকদের নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন দায়িত্বে মাবুদ, আনোয়ার ও মহিউদ্দিন মাটিরাঙ্গায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন পটিয়ায় হাইদগাঁও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল দের পদত্যাগের দাবিতে লিপলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ সভা

পদ্মার জেলেরা ভরা মৌসুমেও পাচ্ছে না  ইলিশ  ফিরছেন খালি হাতে

সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি:: / ৯৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ: উপজেলা প্রতিনিধি::

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা-যমুনার মোহনায় ইলিশের দেখা মিলছে না। বর্ষা মৌসুম শুরুর পরও দিনের পর দিন জাল ফেলে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। এতে চরম অর্থকষ্টে পড়েছেন মাছ ধরা পেশায় নির্ভরশীল পরিবারগুলো।

স্থানীয় জেলেরা বলছেন, অন্যান্য বছর এ সময় নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত। কিন্তু এবার মাছ নেই বললেই চলে। কেউ কেউ পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন, কেউ আবার দাদনের বোঝা নিয়ে দিশেহারা।

ঢালার চরের জেলে হারেজ বিশ্বাস বলেন, ‘সারা রাত নদীতে জাল ফেলেও নৌকা খরচের টাকাও উঠে না। আগে যারা নদীতে মাছ ধরত, তারা এখন কৃষিকাজে নেমে গেছে।’

একই কথা বলছেন গোয়ালন্দের ধীরেন হালদার। তিনি বলেন, ‘৬ জন মিলে মাছ ধরি। সপ্তাহে ১-২ বার বাড়ি যাই, কিন্তু খালি হাতে গেলে পরিবারের কাছে দাঁড়াতেই লজ্জা লাগে।’

অন্যদিকে, আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার জানান, ‘কখনো ১-২টি ছোট ইলিশ ধরা পড়ে, তাও আবার ৯ ইঞ্চির নিচে হলে মৎস্য বিভাগের অভিযানে পড়তে হয়। তাই জাল-দরি গুটিয়ে জাল মেরামতের কাজ করছি।’

এদিকে গত মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা পড়েছিলেন আরও বিপাকে। তাদের অভিযোগ, দাদনে ধার করা টাকায় তৈরি করা জাল-নৌকার খরচও তুলতে পারছেন না তারা।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, ‘ইলিশ সাধারণত গভীর পানির মাছ। কিন্তু পদ্মা নদীতে ডুবোচর আর নাব্যতা সংকটে মাছের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরলে ইলিশও ফিরে আসবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ