সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ: উপজেলা প্রতিনিধি::
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা-যমুনার মোহনায় ইলিশের দেখা মিলছে না। বর্ষা মৌসুম শুরুর পরও দিনের পর দিন জাল ফেলে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। এতে চরম অর্থকষ্টে পড়েছেন মাছ ধরা পেশায় নির্ভরশীল পরিবারগুলো।
স্থানীয় জেলেরা বলছেন, অন্যান্য বছর এ সময় নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত। কিন্তু এবার মাছ নেই বললেই চলে। কেউ কেউ পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন, কেউ আবার দাদনের বোঝা নিয়ে দিশেহারা।
ঢালার চরের জেলে হারেজ বিশ্বাস বলেন, ‘সারা রাত নদীতে জাল ফেলেও নৌকা খরচের টাকাও উঠে না। আগে যারা নদীতে মাছ ধরত, তারা এখন কৃষিকাজে নেমে গেছে।’
একই কথা বলছেন গোয়ালন্দের ধীরেন হালদার। তিনি বলেন, ‘৬ জন মিলে মাছ ধরি। সপ্তাহে ১-২ বার বাড়ি যাই, কিন্তু খালি হাতে গেলে পরিবারের কাছে দাঁড়াতেই লজ্জা লাগে।’
অন্যদিকে, আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার জানান, ‘কখনো ১-২টি ছোট ইলিশ ধরা পড়ে, তাও আবার ৯ ইঞ্চির নিচে হলে মৎস্য বিভাগের অভিযানে পড়তে হয়। তাই জাল-দরি গুটিয়ে জাল মেরামতের কাজ করছি।’
এদিকে গত মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা পড়েছিলেন আরও বিপাকে। তাদের অভিযোগ, দাদনে ধার করা টাকায় তৈরি করা জাল-নৌকার খরচও তুলতে পারছেন না তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, ‘ইলিশ সাধারণত গভীর পানির মাছ। কিন্তু পদ্মা নদীতে ডুবোচর আর নাব্যতা সংকটে মাছের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরলে ইলিশও ফিরে আসবে।’