সাইফুর রহমান পারভেজ,গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি::
রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসিসির) দুই কর্মকর্তা, পরিদর্শক আবু বকর ছিদ্দিক ও উপ-পরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ঐ নারীর নাম জবেদা খাতুন (৫৫)। সে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের স্বামী মৃত এলেম খাঁর স্ত্রী। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকা জুরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
এই ঘটনায় বরিবার (২৯শে) জুন বিকালে ভুক্তভোগী ঐ নারী জবেদা খাতুন, মাদক নয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ১৯শে জুন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া পুরাভিটা এলাকায় তার এক আত্মীয়র সন্ধ্যানে যান। এ সময় রাজবাড়ী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবু বক্কর ছিদ্দিক ও উপ-পরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন তাকে পিছন থেকে আচমকা যাপটা ধরে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ও ওয়ারেন্ট না থাকার সত্বেও তাহারা পরস্পর জোগসাজশে তার শরীরের পরিদেহ বস্ত্র খুলে উলঙ্গ করে ফেলে। সে প্রতিবাদ করিলে তারা তাকে লাঠি দিয়ে মারপিট ও কিল ঘুষি মারে। তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানেও হাত দেয়। পরে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে উক্ত কর্মকর্তারা ভাইভীতি দেখায় যে, আজ বেচে গেলি। ভবিষ্যতে তোকে একা পেলে মাদক দিয়ে চালান দিয়ে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো। এ ঘটনা কাউকে জানাজানি করিলে তোর জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হবে হুমকি দেয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন,তাকে আটক করে হয়রানির সময় উপস্থিত লোকেরা বলাবলি করে, এরা সকল অসাধু কর্মকর্তা দৌলতদিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে প্রতি মাসে ৮/১০ লক্ষ টাকা মাসোহারা চাঁদা তুলে। তাদের ধার্যকৃত টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।
এবিষয়ে রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপ-পরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে,তিনি পুরো ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি ১৯শে জুন সন্ধায় দৌলতদিয়া ঘাটে ডিউটিতে ছিলাম। কিন্তু কোন নারীর সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি। আমি কোন নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করিনি।
আর পরিদর্শক, আবু বকর ছিদ্দিক এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক সাথে অকাট্য ভাষায় খারাপ আচারন করেন। বলেন, অভিযোগের কপি আমিও পেয়েছি। ফোন রাখেন। আমার সাথে ফালতু আলাপ করবেন না।
এবিষয়ে রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লা জাহিদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি অভিযোগের কপি এখনও হাতে পায়নি। আপনার মারফত জানতে পেলাম। অভিযোগের কপি হাতে পেলে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।