• রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
দৌলতদিয়ার প্রকাশ্যে বসে মাদকের হাট! এক ডজন কোটিপতি মাদক ব্যবসায়ী বহাল তবিয়তে লামায় যে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী জামায়াতের ওলামা বিভাগের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত শান্তি পরিবহনের চাপায় নারী নিহত মিলনপুর বন বিহারে পবিত্র শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত তিন পার্বত্যঞ্চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরোনা পরিবর্তে অস্থায়ী চেয়ারম্যানে নিয়োগ পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা খাগড়াছড়িতে নিয়োগবিধি সংশোধন সহ ৬ দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থাসন কর্মসূচি  সেনাবাহিনী কর্তৃক মানব কল্যাণে মানবিক সহায়তা প্রদান পার্বত্য উপদেষ্টার অপসারনসহ চার দফা দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন গোয়ালন্দে পবিত্র আশুরায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে শোক মিছিল রামগড়ে চোলাইমদ সহ পলাতক আসামী গ্রেফতার

কাপ্তাই ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মুক্তি মিললো ভাতের হোটেলে কাজ করা ৪ শিশুর

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি: / ২৮০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে    রাঙামাটির  কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো: রুহুল আমিন  এর হস্তক্ষেপে   মুক্তি মিললো কাপ্তাই উপজেলাধীন ৩ নং  চিৎমরম ইউনিয়ন এর  কেয়াংঘাট  এলাকার   কিশোর ত্রিপুরা এবং তাঁর স্ত্রী হ্লাসুইনং মারমা (মিতা) ও নাইউমা চৌধুরীর মালিকানাধীন ভাতের হোটেলে কাজ করা ৪ শিশুর।

উদ্ধারকৃত ৪ শিশুরা  হলেন রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা  যৌথ খামার এলাকার সুইজাইউ মারমা’র ছেলে অংথোয়াইপ্রু  মারমা(১০),অংজাই মারমা’র ছেলে সুইথুইমং মারমা,কালা মার্মা’র ছেলে পাইসাচিং মারমা(১২) এবং কাপ্তাই উপজেলার ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর মুরালীপাড়া এলাকার স্লাইচিং মারমা’র ছেলে হ্লাখ্যাইচিং মারমা (১১)।

বুধবার (১৮ জুন)  সন্ধ্যায় ইউএনও মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে  চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এবং  ৪১  বিজিবি,র সহায়তায় ঐ ভাতের হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে এই ৪ শিশুকে   উদ্ধার করে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা  হয়। এসময়  ৩ নং চিৎমরম  ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং  চৌধুরী, ইউপি সদস্য ক্যাপ্রু  চৌধুরী সহ এলাকার  অসংখ্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রুহুল আমিন বুধবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ৯ টায় এই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি খবর পেয়েছি যে, চিৎমরম ইউনিয়ন এর চিৎমরম কেয়াংঘাটে একটি ভাতের হোটেলে ৪ জন শিশুকে পড়াশোনা করার নামে নিয়ে এসে তাদেরকে হোটেলের কাজ করাতো এবং কাজ না পারলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমি এদিন ( বুধবার)  সন্ধ্যায় ঐ দোকানে গিয়ে শিশুদের সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করি। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদেরকে ডেকে নিয়ে এসে রাতে শিশুদেরকে স্ব- স্ব পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করি।

ভুক্তভোগী শিশুরা অভিযোগ করে বলে যে, আমাদেরকে বাড়িতে যেতে দেয়না, পর্যাপ্ত খাবার দেয়না, আমাদেরকে দিয়ে ভারী কাজ করা সহ হোটেলের যাবতীয় কাজ করায়। নানা অযুহাতে যখন তখন হাতের কাছে যা পায় তা দিয়েই শরীরে আঘাত করে। অথচ লেখাপড়া করাবে বলে নিয়ে আসার পর  লেখাপড়াতো করাই না বরং নির্যাতন করে এবং বাবা-মা কে যেভাবে তাদের সাহায্য করার কথা সেভাবেও করে না। এছাড়াও আমাদের হাতে টাকা এবং মোবাইল ধরিয়ে দিয় সেটার ভিডিও করে চোর সাজিয়ে থানা পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার নাম করে  হোটেলে কাজ করতে বাধ্য করে।

এইসময় হোটেল মালিক কিশোর ত্রিপুরা এবং তাঁর স্ত্রী হ্লাসুইনং মারমা (মিতা) কে পাওয়া না গেলেও অপর  মালিক নাইউমা চৌধুরী এবং হোটেল মালিক  হলাসুইনং মারমার মামাত বোন চিৎমরমের বাসিন্দা ববি মারমা এসময় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে তাদেরকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন।

৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী বলেন, শিশুদের  অভিভাবক আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি হোটেল মালিকদের তাদের ছেড়ে দিতে বলি। কিন্তু হোটেল মালিক আমাকে জানান তাদের অভিভাবকদের কাছে আমরা অগ্রিম টাকা পাওনা আছি। তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।

৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ক্যপ্রু চৌধুরী বলেন, এই হোটেলে শিশু গুলো নির্যাতনের খবর আমার কানে ়আসে। আমি হোটেল মালিকদেরকে অভিভাবকদের কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ