শফিক ইসলাম, মহালছড়ি
“তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, নিকোটিন মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি” এই শ্লোগানে খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ি উপজেলাতে র্যালী,আলোচনা সভা,দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার মধ্যে দিয়ে অনুষ্টিত হয়েছে বিশ্ব তামাক দিবস ২০২৫।
বুধবার (৪জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় মহালছড়ি উপজেলা চত্বর হতে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়ে সম্মেলন কক্ষে গিয়ে শেষ হয়। র্যালী শেষে ধুমপান ও তামাক দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ের অংশ হিসেবে মহালছড়িতে প্রশিক্ষণ কর্মশালাট এবং টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভা।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রায়হানের সভাপতিত্বে র্যালী ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ধনিষ্টা চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের অফিসার,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,সমাজকর্মী,এনজিও কর্মী,সাংবাদিকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামাকজাত দ্রব্যর অপকারিতা,আইন,জড়িমানা বিষয়ে সহ সার্বিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন,সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপানমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের সমবয়সী মানুষের মাঝে ধূমপান বন্ধের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করা আহ্বান জানাতে হবে।
বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাক দ্রব্য সেবনের প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুবরণ করে।বর্তমানে দেশে ৩০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ৭০ লাখের অধিক মানুষ তামাক সেবনজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।এর মধ্যে ১৫লেখা দিক মানুষ তামাকজনিত দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত। ৬১ হাজারের অধিক শিশু বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মধ্যে ৪ লাখ ৩৫ হাজারের ও বেশি শিশু তামাকজাত রোগে আক্রান্ত। দেশর ৯০ শতাংশ ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য ধূমপান দায়ী। তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে যা শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে অধূমপায়ী ব্যক্তির হৃদরোগ,ষ্ট্রোক, ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।