• রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী রক্ষার স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা মানিকছড়িতে শিক্ষার মানোন্নয়নে মুক্ত আলোচনা অনুষ্টিত দীঘিনালায় মেধাবৃত্তি প্রদান ও গুণীজন সংবর্ধনা: শিক্ষাঙ্গনে আনন্দঘন আয়োজন রাইখালী ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান সাজেক ভূয়াছড়িতে সেনাবাহিনীর ক্রীড়া উদ্যোগে জমজমাট ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত গুইমারার সিন্দুকছড়ি জোন উদ্যাগে মানবতা ও সমাজ কল্যাণে সহায়তা প্রদান ধানের শীষ প্রার্থী ওয়াদুদ ভূইয়ার পথসভা সফল করতে গুইমারায় বিশাল স্বাগত মিছিল কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে বন মামলার আসামী সোহেল পাটোয়ারী( ভাঙা সোহেল) গ্রেফতার পাহাড়ি বাঙালির সম্প্রীতির বন্ধনে বসবাস করতে চাই-ওয়াদুদ ভূঁইয়া রাজস্থলীতে সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালিত কাপ্তাই ওয়াগ্গাছড়া টি বাগানে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত  বেলকুচিতে উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা বিতর্ক উৎসব ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

সড়কে বিভিন্ন সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি গুইমারাতে সেনা অভিযানে আটক দুই

দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ:: / ১২৫৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ::

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সড়কে সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। চালকদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। বুধবার মধ্যরাতে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদিরের নেতৃত্বে একটি সি-টাইপ টহল দল অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা ও চাঁদা আদায়ের রশিদ বইসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়ই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, আটককৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গুইমারা উপজেলার অন্তত পাঁচটি স্থানে বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হতো। স্থানগুলো হলো-জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, জালিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, গুইমারা বাজারে কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমোড়া পুলিশ বক্সের সামনে।

অভিযোগ রয়েছে, দিনে ও রাতে কাঠ, বাঁশ, ইট, বালু এবং মালবাহী ট্রাক থেকে বিভিন্ন সমিতির নামে চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদার অঙ্ক ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনো চালক টাকা না দিলে তার গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।

স্থানীয় এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। এই নিয়ে আমরা অনেক ভুগেছি। বিষয়টি প্রশাসনকেও অবহিত করেছি। তিনি আরো জানান, খাগড়াছড়ি থেকে একটি মালবাহী ছোট পিকআপ বারইয়ার হাট পৌছাতে প্রতিটি গাড়িকে অন্তত আট হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। জেলা সদর থেকে শুরু করে, একই ভাবে মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, রামগড়, হেয়াকো, সর্বশেষ বারইয়ার হাটে গিয়েও চাঁদা দিতে হয়।

পেট্রোল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই চাঁদাবাজকে চাঁদা উত্তোলনের সময় আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এই অভিযান চলমান থাকবে। আটক দুই ব্যক্তিকে গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এনামুল হক চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমান, গুইমারায় এধরনের অভিযান চলমান থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ