রাজবাড়ির গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মাও যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে ফেরি পারাপারে দ্বিগুন সময় লাগায় যানবহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় ৭ শতাধীক যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।
অপর দিকে পদ্মা নদীর পানি গত চব্বিশ ঘন্টায় ৫ সে:মি: বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৪ সে:মি: ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিদিনই ঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়াও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ( মাওয়া) ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই নৌরুটের যানবহন এই রুট দিয়ে চলাচল করায় ঘাটে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের লম্বা সারি। প্রতিটি অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২থেকে ৩দিন পর্যন্ত।
শনিবার দুপুরে ৩টায় সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘসারি সৃষ্টি হযেছে। এ ছাড়া একই ভাবে ঘাট থেকে প্রায় ১৪কিলোমিটার দুরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর বাজার পর্যন্ত ২ শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে আটকে রাখা হয়েছে । তবে এ সময় বাস ও কাঁচামাল বোঝাই ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হতে দেখা যায়।
ঝিনেদাহ থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক(চুয়াডাঙ্গা ট,১১-০৩২৩) চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গোয়ালন্দ মোড়ে দিয়ে তিন দিন অপেক্ষার পর আজ ঘাটে এসেও সিরিয়ালে আটকে আছি। এখনো ফেরির দেখা পেলাম না। আমার সামনে প্রায় ৩শতাধিক যানবাহন রয়েছে। কখন ফেরির দেখা পাব বুঝতে পারছিনা। এদিকে মোড়ে খোলা সড়কে রাত কাটাতে নানা ধরনের বিড়ম্বনার সম্মুখিন হতে হয়। খাবার, পানি ও টয়লেটের জন্য বেশি সমস্যায় পড়েছিলাম।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সেপেক্টর (টিআই) তারক চন্দ্র পাল বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা-যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে প্রচন্ড স্রোতের বিপরীতে নৌরুটের ফেরিগুলোর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে ফেরি চলাচলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুন সময় লাগায় যানবাহনের সিরিয়াল সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যাবাহনের চাপ দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় ঘাটে যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান এ নৌরুটে ছোটবড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। তবে দূর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত