• বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
৪ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৩০০ ঘর বিতরণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা মানিকছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার মানিকছড়িতে দরিদ্র জেলের মাঝে ছাগল বিতরণ মহেশখালীর নতুন এসিল্যান্ড মোহাম্মদ সাদাত হোসেন রামগড় ৪৩ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভা অনু্ষ্ঠিত  পানছড়িতে দিনব্যাপী পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত দেশ ও জাতির কল্যাণের স্বার্থে অন্তকোন্দল পরিহারের আহবান- বন্দর কর্তৃপক্ষ কাপ্তাইয়ে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে ধানবীজ ও সার বিতরণ কাপ্তাইয়ের বিএসপিআই এর অধ্যক্ষ এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা শিক্ষার্থীদের লংগদুতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লংগদুতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ রাঙামাটি বৈশাখী লোকজ নাট্য উৎসবে কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির মনোমুগ্ধকর বাউল গান পরিবেশনায় মুগ্ধ দর্শক

সার সঙ্কটে নানিয়ারচরে আনারস চাষিরা বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি

মাহাদী বিন সুলতান, নানিয়ারচর প্রতিনিধি: / ৪৭০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আনারসের রাজধানী ক্ষ্যাত রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় চাহিদার তুলনায় চাষিরা পাচ্ছেনা সার। উপজেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন বাজার থেকে চড়া দামে সার কিনতেও ভোগান্তিতে পড়ছে প্রান্তিক চাষিরা।

শনিবার সকালে উপজেলার বুড়িঘাট ও ঘিলাছড়ি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরে কয়েক মেট্রিকটন সারের চাহিদার তুলনায় স্থানীয় বাজারে চাষিরা সার পাচ্ছে খুবই কম।

এবিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা টিপু সুলতান জানান, বর্ষা পরবর্তি মৌসুমে চাষিরা আনারস বাগানে সার প্রয়োগ করে থাকে। তাই একটা বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হয়। আমরা জেলা পর্যায়ে যোগাযোগ করছি। সারের বরাদ্দ বাড়িয়ে চাষিদের সারের সঙ্কট মেটাতে চেষ্টা করছি।

স্থানীয় চাষি মোঃ জিয়াউল হক জানান, নানিয়ারচর, বুড়িঘাট, ঘিলাছড়ি ও বেতছড়ি বাজারে সারের পর্যাপ্ততা না থাকায় মহালছড়ি, রানীরহাট ও চট্টগ্রামসহ বাইরের বিভিন্ন বাজার থেকে চড়া দামে চাষিরা ক্রয় করছে সার।

স্থানীয় আনারস চাষি নুর মোহাম্মদ জানান, এলাকার চাষিদের যে পরিমান সার প্রয়োজন ডিলারের মাধ্যমে আমরা তা পাচ্ছিনা। এতে করে সময়মত সার দিতে না পারায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সরকারী নির্ধারিত মূল্যে সার পেলে আমরা উপকৃত হবো।

ইসলামপুর এলাকার চাষি মোঃ বাবুল বলেন, স্থানীয় ডিলারের কাছে আমরা পর্যাপ্ত সার পাইনা। মাঝে মধ্যে যতটুকু পাওয়া যায় তার দাম অনেক বেশি। ৭০০টাকার সার ৯০০টাকা থেকে ১হাজার টাকায় কিনতে হয়।

৩নং বুড়িঘাট ও নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন (অতিরিক্ত দায়ীত্ব) বিসিআইসি পরিবেশক মেসার্স স্বপন এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী স্বপন দেবনাথ জানান, চলতি বছর (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দুই ইউনিয়নের জন্য মোট ২০৭ মেট্রিকটন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্ষা পরবর্তি মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সঙ্কট তৈরী হয়েছে।

বছরের মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় চাষিদের প্রতি মাসে ১০০মেট্রিকটন সারের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলেও স্বপন দেবনাথ।

বাড়তি দামে সার বিক্রি স্থানীয়দের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের চাহিদা অনুযায়ী সার দিতে না পেরে আমি কৃষি বিভাগের অবগতি সাপেক্ষে কাউখালী, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামের অন্য ডিলার থেকে এনে সার বিক্রি করি। সেক্ষেত্রে খরচ অনুযায়ী (ভাড়া) বাড়তি দাম নিতে হয়।

তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাবো আমাকে নির্ধারিত বরাদ্দ বাড়িয়ে দিলে স্থানীয় চাহিদা পুরনে সক্ষম হবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ