দৈনিক পার্বত্যকন্ঠঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে গুইমারা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উসকানিমূলক বক্তব্য ও শ্লোগান ও হত্যার হুমকি দানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গুইমারা উপজেলা আমীর মো: রফিকুল ইসলাম ০৬/০৫/২০২৫ ইং মঙ্গলবার নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন:
৫ মে সোমবার বিকেল ৫ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গুইমারা উপজেলা শাখার একটি মিছিল থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে হত্যার হুমকি দিয়ে উসকানিমূলক শ্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে উদ্দেশ্য করে ফ্যাসিবাদি ভাষায় যে বক্তব্য ও শ্লোগান দেওয়া হয়েছে তা কোন রাজনীতিবিদের ভাষা হতে পারেনা। ফ্যাসিবাদীরাও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দিতো।
বিএনপির মতো একটি দায়িত্বশীল সংগঠন একজন ব্যাক্তির ফেসবুক স্টাটাসকে কেন্দ্র করে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিবেন তা কিছুতেই কাম্য নয়। কোনটি ব্যক্তির বক্তব্য আর কোনটি দলীয় বক্তব্য এমন বিচার বিশ্লেষণের নূন্যতম যোগ্যতা রাজনীতিবীদদের থাকা উচিত। আওয়ামী স্টাইলে যে কোন কিছুর সাথে জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে দেওয়া ফ্যাসিবাদি আচরণের নামান্তর।
আমরা হুশিয়ার করে বলে দিতে চাই, জুলাই আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদকে মানুষ গ্রহণ করবেনা। কেউ যদি ফ্যাসিবাদের ভাষাকে পুন:প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাহলে জনগণ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল ব্যাক্তি নন এমন একজন ব্যাক্তির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে একটি দলের বিরুদ্ধে কর্মসূচী বাস্তবায়ন স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের কোথায় হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। একজনের বক্তব্য আরেকজনের উপর চাপিয়ে দিয়ে জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ কি বুঝাতে চান সেইটা আমাদের বোধগম্য নয়।
আমরা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য ও শ্লোগান থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। এমন উসকানিমূলক বক্তব্য অব্যাহত রাখলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
বার্তা প্রেরক
আবু বকর ছিদ্দিক
তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
গুইমারা উপজেলা শাখা।