রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নিজ বাড়িতে পাষবিকতার শিকার হয়েছেন অশীতিপর বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সকালেই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে । পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ওসিসিতে নেয়া হয়েছে তাকে।
এই ঘটনায় সকালেই অভিযুক্ত প্রতিবেশী সুনীল হেমব্রমকে (৫০) হেফাজতে নেয় পুলিশ। তিনি একই গ্রামের ফেলন হেমব্রমের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, পাঁচ কন্যা সন্তানের জননী ওই বৃদ্ধা। বিয়ের পর মেয়েরা নিজ নিজ স্বামীর বাড়িতে থাকেন। স্বামীর মৃত্যুর পর কমলাপুরে একাই বসবাস করছিলেন তিনি। ভিক্ষা করে তিনি কোনো রকমে পেটের খাবার যোগান।
অন্যদিকে, সুনীল হেমব্রমের স্ত্রী মারা গেছেন প্রায় একযুগ। তিনিও সন্তানদের সাথে বসবাস করেন। এর আগেও কয়েকবার প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধাকে উত্যক্ত অভিযোগ রয়েছে সুনীল হেমব্রমের।
এই ঘটনায় ওই বৃদ্ধার এক মেয়ে বাদি হয়ে বিকেলে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামরা নম্বর-৪। তাতে একমাত্র আসামী করা হয়েছে পুলিশ হেফাজতে থাকা সুনীল হেমব্রমকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোস্তাকিন হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই বৃদ্ধার অভিযোগ প্রতিবেশী সুনীল তার উপর পাষবিকতা চালিয়েছেন। সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার কিংবা অস্বীকার কিছুই করছেননা সুনীল।
তিনি আরো বলেন, ওই বৃদ্ধা রামেক হাসপাতাল ওসিসিতে ভর্তি রয়েছেন। তাছাড়া এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সুনীল হেমব্রমকে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে নেয়া হবে।