ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি: ” বন্দে মাইয়া লাগাইয়াছে, পিরিতি শিখায়াছে”, ” আমি তোমার তুমি আমার এই আশা করে”, ” বসন্ত বাতাসে সই গো” ” গান গাই আমার মনরে বুঝাই”, সাধের লাউ বানাইলো মোরে ডুগডুগি “, ” আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম” ” মিলন হবে কত দিনে” বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এবং ফকির লালন শাহজির প্রভৃতি বাউল গান এবং আধ্যাত্মিক গান যখন একের পর এক পরিবেশিত হচ্ছে, তখন দর্শকদের তুমুল করতালি এবং হর্ষধ্বনিতে উৎসবস্থল মুখরিত হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এবং রাঙামাটি জেলা পরিষদ এর সহযোগিতায় গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বৈশাখী লোকনাট্য উৎসবের শেষ দিনে কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী বসুদেব মল্লিক এবং লিপি দাশ ১ ঘন্টা ব্যাপি বাউল গান পরিবেশন করে দর্শকদের অকুন্ঠ প্রশংসা অর্জন করেন।
কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঙ্গীত পরিচালনায় এই সময় যন্ত্র সঙ্গীত সহযোগিতা করেন বাংলা ঢোলে টুন্টুরাম দাশ, বাঁশিতে বসন্ত দাশ, খমকে রুবেল বাউল এবং মন্দিরে স্বপ্নময় মল্লিক।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাট্য বিভাগের প্রশিক্ষক সোহেল রানার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটির প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী সুরকার ও গীতিকার রনজিত দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান।
এসময় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত বিভাগের প্রশিক্ষক তপন কুমার চাকমা ও অর্পনা দেব রায়, নৃত্য বিভাগের প্রশিক্ষক প্রনব ত্রিপুরা এবং তবলা বিভাগের প্রশিক্ষক সুবল বিশ্বাস ও সচিব চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: গত ২৬ এপ্রিল হতে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এই বৈশাখী লোকজ নাট্য উৎসব শুরু হয়।