• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল বেলকুচি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজকে গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাথতে হবে -বাবুল দাস কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত কাপ্তাই বিএসপিআই শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা, ৪ জন আহত এম কে বাঘাবাড়ী ঘি কোম্পানির উৎপাদনকারী মো: কামাল উদ্দিনের ১ বছরের কারাদণ্ড কোটা সংস্কারের দাবিতে  কাপ্তাই বিএসপিআই এ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট রাঙামাটি সদর জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রদান পানছড়ি মাদ্রাসায় অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খাগড়াছড়িতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পিলার দাড়িয়ে আছে ব্রিজ হয়নি ৬ বছরেও, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ / ৭১৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রাঙামাটির উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতি এলাকা হলো লংগদু। মাইনীমুখ এই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের মূলকেন্দ্র তেমনি অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রাইমারী-হাইস্কুল এবং মাদ্রাসাও রয়েছে এখানে।
এলাকাবাসীর দাবির মুখে সেতুটি নির্মান কাজ শুরু করলেও শেষ করা হয়নি। ফলে এলাকা জনগনের ভোগান্তি রয়েই গেছে। গত সোমবার ২৯ আগস্ট এই খালের এক পাড় হতে অন্য পাড়ে সাঁতার কেটে পাড় হতে গিয়ে রাজ মাহমুদ (৭২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
সেতুটির ব্যাপারে ঠিকাদার শাহ মোঃ নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন সোনাই হাজা ছড়া হইতে পূর্ব মালদ্বীপ যাওয়ার পথে ছড়ার উপর ফুট ব্রিজ নির্মান প্রকল্পের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পনেরো লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন তৎকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা,ও সদস্য শামীমা রশিদ মহোদয়। কাজটি আমি পেয়েছি এবং আমি পনেরো লক্ষ টাকার কাজ করিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন এ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বরাদ্দ পেতে আমি অনেক চেষ্টা তদবির করেছি কিন্তু সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মরহুম জানে আলমের বিরোধীতার কারনে নতুন করে আর বরাদ্দ হয়নি ফলে সেতুটির কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান প্রায় ৭ বছর আগে মাইনী নদীর এইপার-ওইপার মিলে কয়েকটি পিলার তোলা হয়েছে । কি কারনে কাজ সম্পন্ন হয়নি তা আমরা জানিনা। এব্যাপারে অত্র এলাকার বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক মামুন বলেন ৫ নং ওয়ার্ড -এ এক‌টি দা‌খিল মাদ্রাসা থাকার ফলে সোনাই বাজার নোয়াখালি পাড়া, ২ নাম্বার, মালদ্বীব, ১ নাম্বার ,৩ নাম্বার সহ এই ওয়ার্ড এর সকল শিক্ষার্থী এই ন‌দী পার হয়ে মাদ্রাসায় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। সেতুর অভাবে বাঁশের ভেলা দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেক শিশু, স্কুল শিক্ষার্থী ভুগা‌ন্তিতে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, এর ফলে অনেক দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষ জন। তাছাড়া এই ন‌দী পার হতে শত শত শ্রমজী‌বি মানুষ তাদের কর্মস্থল সোনাই গাছের মিলে কাজ করতে যেতে বিরাট ভুগা‌ন্তি এবং কষ্টের শিকার হচ্ছে । ইউপি সদস্য আবুল হাসেম বলেন আমরা পাহাড়ে বসবাস করে সরকা‌রি অনেক সুযোগ সু‌বিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আ‌ছি। আমরা পাহাড়ে বসবাস ক‌রি এটা‌ কি আমা‌দের অপরাধ? তা না হলে কেনো এক‌টি সেতু ৭বছরেও হলোনা ? কি অজ্ঞাত কারনে সেতুটি সম্পন্ন হলোনা তা আমরা জানিনা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ