এই গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে কয়েক টুকরো তরমুজ যেন শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে।
এসব তরমুজ কিনে আনেন তারা। প্রতিটি তরমুজ আকার অনুসারে ২০০-৪০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হয় ১০০-১৫০ টাকায়।
এদিকে সারি সারি আনারস দেখা যায় বাজারে।
শওকত হোসেন বলেন ১০,১৫ লাভ দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি। অপরিপক্ক হলেও রমজানে এর কদর বেশ তুঙ্গে। তবে তরমুজের তুলনায় আনারসের দাম কম । প্রতিটি বড় আনারস ৭০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এখন অবশ্য আকার ভেদে ৬০-৮০ টাকায় প্রতিটি। বান্দরবানে বাজারে এলাকায় আগাম এসেছে ।
আজ ১৮ রমজান ১৯ শে মার্চ বুধবার ২০২৫ বান্দরবানে ঘুরতে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায় বা মোড়ে তরমুজ আর তরমুজ – ব্যাবসায়ী অজিত দাশ বলেন, আমি মৌসুমী ফলের ব্যবসা করি, রোজায় তরমুজ ও আনারস বিক্রি করি। রোজায় বেশি দামে কিনে আনতে হয় বিধায় বিক্রি করতে হয় বেশি দামে। তবে জুলুম করি না। সহনীয় দামে কম লাভে বিক্রি করি।
অপর ব্যবসায়ী সালাম বলেন, রোজায় দেশীয় ফলের চাহিদা বেশি। আমি সূদুর নিমসার বাজার থেকে তরমুজ কিনে এনে ব্যবসা করি। পরিবহণ খরছ বেশি না হয় আরো কম দামে বিক্রি করতে পারতাম। প্রতিটি তরমুজে খরছ বাদে ২০-৫০ টাকা লাভ করেই বিক্রি করি।
তরমুজ কিনতে আসা- সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বান্দরবান উচ্চ বিদ্যালয়- আমিনুল ইসলাম বলেন, রোজায় দেশিয় ফলই একমাত্র ভরসা। কারণ বিদেশী ফলের দাম বেশি। ২ শত টাকায় একটি তরমুজ কিনলাম। রোজায় পরিবারের সকালের তরমুজ পছন্দ তাই কিনে নিলাম। দাম সহনীয় মনে হলো, সারাদিন রোজার পর শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজ খুবই কার্যকরী।
বান্দরবান জেলা হটি কালচার উপ পরিচালক লিটন দেবনাথ কৃষিবিদ বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে ইফতারির আয়োজনে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে তরমুজ ও আনারস। তাজা ফলের এই দুই প্রজাতি ইফতারির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, কারণ মৃদু গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং তৃষ্ণা মেটাতে এগুলো অত্যন্ত কার্যকর। তবে অপরিপক্ক ফল বর্জন করাই শ্রেয়।
গ্রীষ্মকালে তরমুজ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। রমজান উপলক্ষে এর চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। এই গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে কয়েক টুকরো তরমুজ যেন শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে। এই মৌসুমি ফল শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং পানির অভাব পূরণে সহায়তা করে। তবে বাজারে তরমুজ কিনতে গেলে অনেকেই ভালো ও মন্দের তফাৎ করতে পারেননা।
যে কারণে কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা ঠিক না
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক না কেটে ওপর থেকে দেখেই তরমুজ চেনার উপায় সম্পর্কে।
তরমুজ গোলাকার হতে পারে কিংবা ওভাল আকৃতির হতে পারে। তবে কাটা-ছেঁড়া বা একদিক বড় একদিক ছোট এমন তরমুজ কিনবেন না। অনেক সময় পর্যাপ্ত পানির অভাবে তরমুজের এমন আকৃতি হতে পারে। এসব তরমুজে রস হয় না বেশি।
ভারী তরমুজ বাছাই করুন। তরমুজ রসে ভর্তি হলে সেটি ভারী হবে, অন্যগুলোর তুলনায় আন্দাজে হাতে নিয়ে ওজন বোঝার চেষ্টা করুন। তাহলে বুঝতে পারবেন কোনটায় রস বেশি। ফাঁপা মনে হলে সেটি অপরিপক্ক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গাঢ় ও কালচে রঙের- তরমুজ গাঢ় ও কালচে রঙের কি না সেটাও দেখে নেওয়া জরুরি। গাঢ়, কালচে রঙের দেখতে না হলে সেই তরমুজে স্বাদ কম পানসে খেতে লাগবে। অর্থাৎ ততটা পাকা নয়।
গোড়ায় শুকনো বোঁটা কি না- তরমুজের বোঁটা কেমন সেটা দেখে নিন। শুকনো বোঁটা হলে বুঝতে হবে ভালোভাবে পাকানোর পর বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।
তরমুজের কালো দাগ কতটা মোটা- তরমুজের গায়ে কালো দাগ জেব্রার মতো থাকে। এই কালো দাগ কতটা মোটা তা দেখে তবেই তরমুজ কিনুন। দাগটি অন্তত দুই আঙুল চওড়া হলে তরমুজটি মিষ্টি হবে।
তরমুজের গায়ে বড় ধরনের হলুদ দাগ আছে কিনা সেটা যাচাই করে নেবেন। এর অর্থ তরমুজটি পাকা ও রসালো। জমির উপর অনেকদিন থাকার ফলে এই ধরনের হলুদ দাগ হয় তরমুজের গায়ে। এতে বোঝা যায় পাকার পর জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তরমুজটি।