• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল বেলকুচি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজকে গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাথতে হবে -বাবুল দাস কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত কাপ্তাই বিএসপিআই শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা, ৪ জন আহত এম কে বাঘাবাড়ী ঘি কোম্পানির উৎপাদনকারী মো: কামাল উদ্দিনের ১ বছরের কারাদণ্ড কোটা সংস্কারের দাবিতে  কাপ্তাই বিএসপিআই এ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট রাঙামাটি সদর জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রদান পানছড়ি মাদ্রাসায় অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খাগড়াছড়িতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা নদীর ভাঙনে মসজিদ সহ বাড়ীঘর বিলিন

আবুল হোসেন,রাজাবাড়ী প্রতিনিধি : / ৪১২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদী ভাঙ্গনে ৪ নং ফে‌রি ঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজীর পাড়া জামে মসজিদ ও ৫ টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে আরো ২০ টি পরিবার। হুমকিতে রয়েছে ৪ টি ফেরিঘাট, ঘাটের সংযোগ সড়ক,ও ২ শতাধিক পরিবারসহ বহু স্থাপনা। সকাল ৮ টার দি‌কে নদী ভাঙন শুরু হয়।

সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ভাঙ্গন এলাকায় দেখা যায় অসহায় মানুষের আর্তনাদ। তারা ভাঙ্গনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডবিউটিএ কতৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন। এ‌দিকে ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডবিউটিএ কতৃপক্ষ জরুরী ভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করতে শুরু ক‌রে‌ছে। স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন,নদী ভাঙনে সিদ্দিক কাজীর পাড়ার সিদ্দিক কাজী,হান্নান কাজী,মান্নান কাজী, আরশাদ আলী ও বাচ্চু খানের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘরবাড়ি গুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। এছাড়া ভাঙন আতংকে সেখানকার আরো ২০ টি পরিবার তাদের বসতভিটা
নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। যারা রয়েছে তাদের মধ্যেও চরম আতংক বিরাজ করছে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল নদী ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে এসে দূর্গতদের দূর্দশা দেখে নিজেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন , আমি নিজে,আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব এবং প্রশাসনের পক্ষ হতে গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিআইডবিউটিএ কতৃপক্ষকে এখানে ভাঙনের বিষয়ে আশংকার কথা বলে আসছিলাম।কিন্তু তারা যথা সময়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়নি।ভাঙন শুরু হওয়ার পর জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করে তাতে নদী ভাঙ্গনরোধে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। বরং এতে সরকারের ব্যায় বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন,গত কয়েক বছরের অব্যাহত নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।হাজার হাজার মানুষ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ সময় তিনি ঐতিহ্যবাহী দৌলতদিয়া ঘাটকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিআইডবিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মকবুল হোসেন। জানান , ফেরি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসেজরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করতে শুরু করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে এখানকার ৩,৪,৫ ও ৬ নং ফেরিঘাট, ঘাটের পাঁকাসড়ক, বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ