• সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
লামায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ২০ শ্রমিককে অপহরণ বান্দরবানে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবাসহ দুজনের যাবজ্জীবন বান্দরবানে সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার অসহায় মানুষের প্রতি করুণা নয়, তাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব – পলাশ ধর লামায় শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন রামগড়ে যুব রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয় সভা অনু্ষ্ঠিত  রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১ বান্দরবানের সেনা সহায়তায় নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছে কুকি চিনের তান্ডবে ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা মানিকছড়িতে কার্প জাতীয় মাছের নার্সারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কাপ্তাইয়ে ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট দ্বিতীয় পর্ব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সন্মানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানের চিরবিদায় রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে  ভারতীয় সিগারেটের ফিল্টার জব্দ

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা নদীর ভাঙনে মসজিদ সহ বাড়ীঘর বিলিন

আবুল হোসেন,রাজাবাড়ী প্রতিনিধি : / ৫০৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদী ভাঙ্গনে ৪ নং ফে‌রি ঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজীর পাড়া জামে মসজিদ ও ৫ টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে আরো ২০ টি পরিবার। হুমকিতে রয়েছে ৪ টি ফেরিঘাট, ঘাটের সংযোগ সড়ক,ও ২ শতাধিক পরিবারসহ বহু স্থাপনা। সকাল ৮ টার দি‌কে নদী ভাঙন শুরু হয়।

সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ভাঙ্গন এলাকায় দেখা যায় অসহায় মানুষের আর্তনাদ। তারা ভাঙ্গনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডবিউটিএ কতৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন। এ‌দিকে ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডবিউটিএ কতৃপক্ষ জরুরী ভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করতে শুরু ক‌রে‌ছে। স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন,নদী ভাঙনে সিদ্দিক কাজীর পাড়ার সিদ্দিক কাজী,হান্নান কাজী,মান্নান কাজী, আরশাদ আলী ও বাচ্চু খানের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘরবাড়ি গুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। এছাড়া ভাঙন আতংকে সেখানকার আরো ২০ টি পরিবার তাদের বসতভিটা
নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। যারা রয়েছে তাদের মধ্যেও চরম আতংক বিরাজ করছে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল নদী ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে এসে দূর্গতদের দূর্দশা দেখে নিজেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন , আমি নিজে,আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব এবং প্রশাসনের পক্ষ হতে গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিআইডবিউটিএ কতৃপক্ষকে এখানে ভাঙনের বিষয়ে আশংকার কথা বলে আসছিলাম।কিন্তু তারা যথা সময়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়নি।ভাঙন শুরু হওয়ার পর জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করে তাতে নদী ভাঙ্গনরোধে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। বরং এতে সরকারের ব্যায় বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন,গত কয়েক বছরের অব্যাহত নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।হাজার হাজার মানুষ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ সময় তিনি ঐতিহ্যবাহী দৌলতদিয়া ঘাটকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিআইডবিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মকবুল হোসেন। জানান , ফেরি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসেজরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করতে শুরু করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে এখানকার ৩,৪,৫ ও ৬ নং ফেরিঘাট, ঘাটের পাঁকাসড়ক, বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ