রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার ১ নং আটারকছড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মিজান মুন্সির বাড়ির সামনে মাইনী নদীর পূর্বপাশে প্রায় ৫০ টি পরিবার বসবাস করে। তাদের খাল পারাবারের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে। ২০১২-১৩অর্থ বছরে রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে মিজান মুন্সির বাড়ি সামনে মাইনী নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয় । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রিজের দুই পাশে সংযুক্ত না হওয়ার কারনে অত্র এলাকার মানুষজন ব্রিজটি দিয়ে পারাপার করতে পারছে না। ফলে তাদের দুর্ভোগ রয়েই গেছে ।
এলাকাবাসী জানান এত টাকা খরচ করে ব্রিজ করার পরে যদি জনগনের উপকারে না আসে তাহলে কেন সরকার ব্রিজটি নির্মান করলো?
এব্যাপারে মিজান মুন্সি বলেন শুকনার সৃজনে মই দিয় ব্রিজ উঠে পারাপার হতে হয়। আর মই দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই মই দিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের জন্য ব্রিজটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ছেলে-মেয়েরা মই দিয়ে উঠতে গিয়ে যেকোন সময় বড়ো ধরনের দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে। তিনি ব্রিজটির দুই পাশে মাটি দিয়ে সংযুক্ত সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
এব্যাপারে খালের পূর্ব পারের আব্দুর রব বলেন আমাদের এপারে প্রায় ৫০-৬০ টি পরিবার বসবাস করি এদের হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ সবই পশ্চিম পারে তাই আমাদের ওপারে প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে যেতে হয় সেই বিবেচনায় সরকার ২০১২ সালে ব্রিজটি নির্মান করে কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, ৯-১০বছর অতিবাহিত হলেও ব্রিজটি দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারছিনা।আমারা যাতে করে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করেতে পারি সেই ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রহমান জানান ব্রিজটি এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও আট নেয় বছর ধরে সামান্য কাজের জন্য এ-র সুফল পাচ্ছেনা জনগণ। তিনি কতৃপক্ষের নিকট কাজটি দ্রুত করার দাবি জানান।
এব্যাপারে অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা বলেন ব্রিজটি যেহেতু জেলা পরিষদ করেছে সেহেতু জেলা পরিষদই সম্পূর্ণ করতে পারে। আমাদের হাতে এরকম বাজেট নাই। তবে জনগনের চলাচলের কথা চিন্তা করে কাজটি দ্রুত করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য যে, ব্রিজটির সংযুক্ত করা হলে অত্র এলাকার কয়েক,শ, মানুষ এবং আম,লিচু,কলা, কচু, হলুদ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সহজে বাজার করতে পারবে। ফলে এলাকার মানুষ ব্রিজের সুফল ভোগ করতে পারবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রিজটি খালের দুই পারের সাথে সংযুক্ত না হওয়ায় মই দিয়ে ব্রিজে উঠে তারপর পারাপর করে এলাকাবাসী। এতে যেকোনো সময় দূর্ঘটনার ঘটতে পারে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত