গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মোল্লার বিরুদ্ধে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও টাকা চাওয়ার অপরাধে তাকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোঃ বাচ্চু মোল্লা (২৮) শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ অভিযোগ করেন। উপজেলার পূর্ব উজানচর নতুন ব্রীজ সংলগ্ন বাজারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাচ্চু মোল্লা উজানচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। তিনি স্হানীয় ভোলাই মাতবর পাড়ার নিজাম মোল্লার ছেলে।
এর আগে গত ২৬ আগষ্ট এ বিষয়ে তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাচ্চু মোল্লা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি পেশায় একজন পোল্ট্রি খামারি।পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০ মাস আগে মোহাম্মদ আলী মোল্লা বালুর ব্যাবসার কথা বলে তার কাছে ১ লক্ষ টাকা ধার চান। আমি সরল বিশ্বাসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল ইসলাম মন্ডলের মধ্যস্ততায় মোহাম্মদ আলীকে ১ লক টাকা প্রদান করি।কিন্তু শর্ত ছিল সে ব্যাবসায় লাভের একটা অংশ তাকে নিয়মিত প্রদান করবে। কিন্তু বহুবার সময় নিয়েও অদ্যাবধি সে আমাকে একটি টাকাও দেয়নি। গত ২৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকেল সারে ৪ টার দিকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার সাথে আমার দেখা হয়।এ সময় আমি তার কাছে পাওনা টাকার কথা বললে সে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে
এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার নাকমুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে স্হানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে যায়। । এ সময় মোহাম্মদ আলী মোল্লা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে ,আর কখনো টাকার কথা বললে সে আমাকে খুন করে ফেলবে। এরপর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ওইদিন রাতেই আমি গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। বাচ্চু আরো বলেন,আমি সততার সাথে এবং অনেক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করি।আমি আমার অর্থ ফেরত চাই। সেই সাথে তার উপর হামলার জন্য তিনি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের কাছে বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মোল্লা ফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,বাচ্চু মোল্লা নামের কোন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে তিনি চেনেন না। কোনদিন দেখা বা কথাই হয়নি।টাকা-পয়সা লেনদেনের অভিযোগে ভিত্তিহীন। তবে তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ওই ছেলেই তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেছে।