আলাদিনের চেরাগের মতো রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া পটিয়ার সাবেক বিতর্কিত এমপি ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ওরফে বিচ্ছুকে নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তাঁর মত রাজনীতিতে আদর্শ বিচ্যুত অনুপ্রবেশকারীদের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আওয়ামী লীগের আজ করুণ অবস্থা। তার নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সুসময়ে এমপি মন্ত্রী হয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সামশুল হকরা। কিন্তু দলের দু:সময়ে মামলা মোকদ্দমা জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে কারাগারে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলমদের মত অসংখ্য ত্যাগী নেতাকর্মী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পটিয়ায় দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মামলা হামলার শিকার হলেও খোঁজখবর নিচ্ছেন না সামশুল হক চৌধুরীসহ সুবিধাভোগী কোন জন প্রতিনিধি।
চট্টগ্রাম -১২ পটিয়ার সাবেক বিতর্কিত এমপি ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-১২ পটিয়ার সাবেক বিতর্কিত হুইপ ও সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড,এলজিইডি,সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ বেশি দরে প্রাক্কলন তৈরী করে টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক চোরাকারবারির নিকট হতে কমিশন গ্রহণ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১(পটিয়া)'র সাবেক বহিস্কৃত চেয়ারম্যান আলমগীর খালেদের মাধ্যমে বিলের উপর অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ পল্লী বিদ্যুৎ,পানি উন্নয়ন বোর্ড,সড়ক ও জনপদ, এলজিইডি সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্নসাৎ পূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে ।
দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত-২) এর সিদ্ধান্ত মতে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সামশুল হক চৌধুরী, তার স্ত্রী মিসেস কামরুন নাহার চৌধুরী, ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন,মেয়ে তাকলিমা নাছরিন চৌধুরী,তাহমিনা নাসরিন চৌধুরী,ভাই ফজলুল হক চৌধুরী, মজিবুল হক চৌধুরীর নামে দেশের সকল ব্যাংকের যে কোন শাখায় কোন সঞ্চয়ী/চলতি/এফডিআর/ডিপিএস/ঋণ/লকার/সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোন হিসাব থেকে থাকলে সেগুলোর হিসাব বিবরণী এবং তৎসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র/তথ্যাদির সত্যায়িত কপি অতীব জরুরি বিবেচনা করে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতে সংশ্লিষ্ঠদের অনুরোধ করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক আতিকুল আলম জানান, সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করেছি মাত্র। তার ব্যাপারে সব দপ্তরে তদন্ত করা হবে। অনিয়ম দুর্নীতির সন্ধান পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত