অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবানঃ
বান্দরবানের ৮৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। আগামী বড়দি, উপলক্ষে ও ৩১ শে ডিসেম্বর পযন্ত প্রায় সব কক্ষের আগাম বুকিং হয়েছে। ওই তারিখের জন্য নতুন কোনো বুকিং নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
জেলার বেশকিছু হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবানে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। কেউ হোটেল ছাড়ছেন কেউবা লাগেজ নিয়ে আসছেন হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষের দিকে। এতে আনন্দিত এসব হোটেলের মালিক-কর্মচারীরা।
পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে -৫০ হাজার পর্যটকদের ভিড়ে বাড়তে শুরু করেছে বান্দরবানের- ১০ স্পষ্ট নীলাচল, মেঘলা, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। ব্যস্ততার জীবনে একটু প্রশান্তি পেতে তারা ছুটে আসছেন পাহাড়ে। কেউ এসেছেন বিশেষ দিন উদযাপন করতে, কেউ প্রকৃতি দেখতে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে। প্রতিদিনই আগমন ঘটছে শতশত পর্যটকের।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সামনে বড়দিন, কোড আদালত শীতকালীন ছুটি, সবে মাত্র শেষ হলো স্কুল কলেজ পরীক্ষা রেজাল্ট ও দিয়েছেন ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিরা ছুটা ছুটির বাবা, মা-র কাছে আবদার তাই চলো না ঘুড়িয়ে আছি কোথায় দাদা দিদি এর নিয়ে বান্দরবান উঁচু পাহাড়ে শীতের মৌসুম শুরু হতেই পর্যটন ব্যবসা আগের চেয়ে অনেক টা চাঙা হয়েছে। ইতোমধ্যে বান্দরবানের সব ছোট-বড় রিসোর্ট গুলো পরিপূর্ণ।
ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে বান্দরবানে ঘুরতে আসা অমিত রায় দম্পতি বলেন, বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক সুন্দর। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসা আতিকুর রহমান বলেন – আমাদের ৩ টি গাড়ি এসেছে সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২০ হবে শুধু বান্দরবান দেখার জন্য।
এটা বাংলাদেশের ভূস্বর্গ। জেলা শহর থেকে দূরের উপজেলাগুলোতে যেতে পারলে ভালো লাগতো। ভ্রমণ বিধিনিষেধে পর্যটকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
ঘুরতে আসা পর্যটক রিফাত বলেন, ২০১৫ সালে একবার বান্দরবান এসেছিলাম। আবার প্রকৃতির প্রেমে ছুটে আসলাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুগ্ধতা আবার উপভোগ করতে। সরকারের প্রতি অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করা যায় তত ভালো।
ফেনী থেকে আসা আমিনুল হক বলেন, পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। ছোট ছোট ঘরগুলো আমাদের মুগ্ধ করেছে। ঢালের মধ্য দিয়ে রাস্তাগুলো এঁকেবেঁকে যাচ্ছে। বাংলাদেশটা যে এত সুন্দর, না এসে কাউকে বোঝানো যাবে না।
রংপুর থেকে সপরিবারে নীলাচলে আসা আতিকুর বলেন, নীলাচল দেখতে অনেক সুন্দর। এখান থেকে পাহাড় আর ছোট ছোট ঘর দেখা যাচ্ছে। এখানে এসে মানসিক তৃপ্তি পেয়েছি।
তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের বিধিনিষেধের কারণে জেলায় আগত পর্যটকদের মনে কিছুটা অসন্তোষ থাকলেও নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন বলেন, বছরের শীতের এই সময়টাতে মূলত বিভিন্ন জেলা হতে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে,তাই পর্যটন ব্যবসায় এখন চাঙ্গা হতে চলছে ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ বলেন, ট্যুরিস্টরা যাতে সুন্দরভাবে ঘুরে যেতে পারেন। নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সময় কাটিয়ে যেতে পারেন। সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।