• শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রের জটিলতায় গুইমারাতে নতুন ভোটার হতে পারছেনা বাঙালীরা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ দীঘিনালায় স্কাউটস এর ত্রি- বাষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ২ ব্যক্তির তিন লাখ টাকা জরিমানা  মহালছড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান, আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বান্দরবানে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বান্দরবানে ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক মাইসছড়িতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান জেলা প্রশাসকের খাগড়াছড়িতে আসছেন সাঈদীর কন্ঠের ওয়ায়েজ মাওলানা গোলাম আযম সিন্দুকছড়ি জোনের মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা খাগড়াছড়ির দুর্গম জনপদে মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন

নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের পাহাড়ে অবৈধ ইটভাটা

অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবানঃ / ৬২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

 

অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবানঃ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া ফকির পাড়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইটভাটার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বনের পাহাড় ও গাছকেটে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে ইটভাটাটি।

 

সরেজমিনে দেখা যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া ফকির পাড়া এলাকায় ইলিয়াস নামের জনৈক ব্যক্তি অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলে বনের কাঠ পুড়িয়ে পুরোদমে চলছে কার্যক্রম। ইতিমধ্যে ভাটায় ইট পুড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে।

 

বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে গত ২৭ নভেম্বর সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করে ইটভাটা কার্যক্রম সম্পাদনের দায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান ইতু ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে ভাটার মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন। অভিযানের সময় অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা ও এ সংশ্লিষ্ট কাজে বিরত থাকতে স্থানীয়দের সতর্ক করেছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান ইতু।

 

স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে গভীর পাহাড় ও বনের ভেতর এ রকম অন্ততপক্ষে ১০/১২ টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। যেগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো ধরনের ছাড় পত্র নেই। তাছাড়াও গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেলে একই সাথে পালিয়ে যায় উক্ত ইটভাটার মালিক ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেছ।

 

ইটভাটাটি প্রকৃত মালিক পালিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে ইটভাটার কার্যক্রম। হারেছের অবর্তমানে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রসিদ আহাম্মদ ও তার ছোট ভাই মো. ইলিয়াস ইটভাটাটি পরিচালনা করছেন।

 

ইটভাটার মালিক ইলিয়াছের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইটভাটাটি পরিচালনা করার জন্য আমরা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে অফিসিয়ালি কাজ করছি। তবে এখনো অনুমতি পায়নি বলে স্বীকার করেন তিনি।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটাটির এক কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসনকে টাকা দিলে অনুমতি মেলে। সময় মতো টাকা না দিলে অভিযান করে আমাদের ক্ষতি করে, জরিমানা করে। এমন কি টাকা দিলে বাংলাদেশে সব কিছু করা সম্ভব বলেও দাবি করেন তিনি।

 

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, যে সকল ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। সে সকল ইটভাটার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

তাছাড়াও পরিবেশ ও বন ধ্বংস করে কেউ নতুন করে ইটভাটা তৈরি করলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ