• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত বর্ণিল আয়োজনে কাপ্তাইয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  ইয়াবা কারবারি দুই সহোদর গ্রেপ্তার, অধরা মুল হোতা! বৈসাবির রঙ্গে রঙ্গিন পাহাড়…গুইমারাতে বর্ণাঢ্য সাংগ্রাই র‌্যালিতে নিজস্ব ঐতিহ্য তুলে ধরলো মারমা সম্প্রদায় খাগড়াছড়ি বন বিভাগ বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর প্রাকৃতিক বনে অবমুক্ত করে সাংগ্রাইকে স্বাগত জানিয়ে মানিকছড়িতে মঙ্গল শোভাযাত্রা কাপ্তাইয়ে সিক্স এ সাইড প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন  গুইমারায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যুবদল নেতা রবিউলের শয্যাপাশে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ বান্দরবানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মারমা নববর্ষ মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ উদযাপন রাঙ্গুনিয়ায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সুর এবং ছন্দের তালে মাতোয়ারা দর্শক      রামগড়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কাপ্তাইয়ে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ৫০০০ টাকা জরিমানা 

দুয়ারে শীত! জেলায় জেলায় রাত বাড়লেই শীতের ইনিংস শুরু! শৈত্যপ্রবাহ

অসীম রায়,বান্দরবান / ৯১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

অসীম রায়,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ শীতে কাঁপছে সারা দেশ, চরম দুর্ভোগে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে  জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ভোরের পাহাড় কিংবা গাছের চারায় শিশিরের মুক্তোদানা শীতের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে । সমতল কি পাহাড়ি অঞ্চল, সর্বত্র এখন শীতের ডাক। রাতের কুয়াশার আবরণ আর সকালের শিশিরবিন্দু দেখে আপ্লুত হন অনেকে। দিনভর কিছুটা ঠান্ডা  থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত দেখা দিচ্ছে ঘন কুয়াশা।

মূল শহরে শীতের তীব্রতা অনুভূত হলেও পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বেশ জাকিয়ে পড়ছে শীত। দিনের অর্ধেক পার হয়ে গেলেও অনেক জায়গায় মিলছে না সূর্যের দেখা। পাশাপাশি কুয়াশার আধিক্যও রয়েছে বেশ। শীতের প্রভাবে প্রায় জবুথবু অনেক পাহাড়ি জনপদ।

শীতের সকাল যত আরামের তার চেয়ে দ্বিগুণ কষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। ভোরের আলো ফুটতেই জীবিকার টানে শ্রমজীবী মানুষের বাইরে ছুটে চলা। কেউ হুক্কায় টান দিয়ে কিংবা চা খেয়ে কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কুয়াশামাখা সকালে।

শহরের আর্মিপাড়া-র   এলাকার বাসিন্দা আরিফুর   বলেন, একপ্রকার বাধ্য হয়েই সকালে বের হতে হয় আমাদের। কারণ আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, কাজ করলে তবেই পেটে ভাত জুটে।

আরেক বাসিন্দা সোলাইমান   বলেন, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে শীত একটু বেশিই পড়ছে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে। দিয়ে তারপর জমিতে যাব কাজ করতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শীতকে সঙ্গী করে পাহাড়ি রমনীরা সকালে হাটে যাওয়ার উদ্দেশে পিঠে বাঁশের ঝুড়িতে কৃষিপণ্য নিয়ে গ্রামের পথ পাড়ি দিচ্ছেন।

কুয়াশামাখা সকালে রাস্তার পাশে বসে পড়েছেন কলাসহ নানান কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য। জীবন যেন থেমে থাকার নয়। শীতের এই সকালে বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠা খাওয়ার দৃশ্য পাহাড়ি এই অঞ্চলেও ধরা দেয়।

এদিকে শীত আসতেই গরম পোশাক কেনার ধুম পড়েছে পাহাড়ি এই জেলায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা মানুষজন ভিড় করছেন গরম পোশাকের দোকানে। বিক্রেতারাও জানালেন, কেনাকাটা ভালো হচ্ছে।

কে,এস প্রু  মার্কেট – এলাকার বিক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শীতের পোশাকের কালেকশান আছে। মানুষজনও কেনাকাটা করছেন। ঠান্ডা ধীরে ধীরে বাড়ছে, আশা করছি সামনে বিক্রি আরও বাড়বে।

বান্দরবান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার ক্যা চি নু মারমা বলেন, শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। ভোর ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। এলাকাভেদে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলছে। তবে কুয়াশার স্থায়িত্ব বেশি নয়।

আগামীতে তীব্র কুয়াশা না পড়লেও পাহাড়ি এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ