রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর পানিবিপদ সিমার২৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি ফেরি নদী পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।এ ছাড়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ( মাওয়া) নৌরুটে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ এবং দিনে ভারি যানবহন পারাপার করতে না পারায় ঐ ঘাটের যানবহন গুলো এই নৌরুট দিয়ে চলাচল করছে। এতে বাড়তি যানবাহনের চাপে ঘাটে তৈরি হচ্ছে যানবাহনের লম্বা সারি। প্রতিটি অপচনশীল পণ্যবাহী যানবাহনকে ফেরি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২থেকে ৩দিন পর্যন্ত। সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ৩কিলোমিটার জুড়ে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘসারি। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় শতাধিক যাত্রীবাহী বাসও। এবং ঘাট থেকে প্রায় ১৪কিলোমিটার দুরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে প্রায় ৬কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে আটকে রাখা হয়েছে । তবে এ সময় বাস ও কাঁচামাল বোঝাই ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার হচ্ছে।ঘাট সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১০টি রোরো ও ৮টি ইউটিলিটি মোট ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হলেও পদ্মা-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে প্রচন্ড স্রোতের বিপরীতে নৌরুটের ফেরিগুলোর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে ফেরি চলাচলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুন সময় লাগছে, ফলে কমে গেছে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা।স্রোতের বিপরিতে রোরো ফেরি চলাচল করতে ইঞ্জিনের দ্বিগুন শক্তি লাগছে এতে মাঝে মধ্যেই ফেরির সাইলেন্সার পাইপে জমে থাকা কার্বনে আগুন লাগছে। গোয়ালন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক মো.ইদ্দিস আলী বলেন,গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ৮.৯০সে:মি: বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসিমার২৫ সে:মি: ্ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী এলাকার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সেপেক্টর (টি, আই ) তারক চন্দ্র পাল বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটকে যানযট মুক্ত রাখতে দক্ষিনাঞ্চল থেকে ফেরি ঘাট অভিমুখে গোয়ালন্দ মোড়ে প্রায় ৩শতাধিক অপচনশীল ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাটে গাড়ির চাপ কমে আসলেই গোয়ালন্দ মোড় থেকে গাড়ি গুলো সিরিয়াল অনুসারে ঘাটের দিকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো.জামাল হোসেন বলেন,শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ভারি যানবহন পারাপার ও রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ এবং পদ্মা নদীর পানি বুদ্ধির কারনে তীব্র স্রোতের ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় নদী পারের জন্য ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ সকল অপেক্ষমান পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে নদী পারের জন্য বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোটবড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। দূর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহি বাস ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত