রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানি বিপদ সিমার ১৫ সে:মি: ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নিম্ন অঞ্চল। সঙ্গে নদীতে তীব্রস্রোত অব্যাহত থাকায় দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন চলছেই। এ বছরের পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখের পাড়া এলাকাসহ লঞ্চঘাট। সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লঞ্চঘাটের একটি পল্টুনসহ শতাধিক
বাড়িঘর।
বুধবার(১৮ আগস্ট) ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় আবারো ভাঙনের তান্ডব চলছে। ভোর থেকে ভাঙনে লঞ্চঘাট এলাকার প্রায় ৫০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে থাকায় সরিয়ে নিতে শুরু করেছে আশেপাশের বেশ কিছু বাড়িঘর। হুমকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চঘাট সহ শতাধিক বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা। ইতিপূর্বে গত কয়েকদিন আগের ভাঙ্গনে প্রথম দফায় ১০টি বসত বাড়িসহ প্রায় ১৫০মিটার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০মিটার, তৃতীয় পর্যায়ে আরো ৩০মিটার এলাকা পদ্মা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, মাঝরাত থেকে পদ্মা নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বেশ কিছুদিন পূর্বে অপিরিকল্পিত ভাবে জিও টিউব দিয়ে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন রক্ষায় সেগুলো কোন কাজেই আসেনি। লঞ্চঘাট এলাকায় প্রায় ৫০মিটার অংশ ভেঙে ধসে গিয়েছে। বেশ কিছু বাড়ীঘর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যেকোন সময় লঞ্চঘাটটিও বন্ধ করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত (বিআইডব্লিউটিএর) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,লঞ্চঘাটটি মুলত চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে যেকোন সময় লঞ্চঘাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলো। আসলে এখানে লঞ্চঘাট স্থাপন করার মতো কোন জায়গা না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকার বেশ কিছু অংশ জিও টিউব ব্যাগসহ পানির নিচে ধসে গেছে। এটি দ্রুত রোধ করা না গেলে, যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে লঞ্চ ঘাটটিও। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক মো. ইদ্দিস আলী বলেন,গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ৮.৬৫সে:মি: থেকে বুদ্ধি পেয়ে ৮.৮০সে:মি: বিপদ সিমার ১৫ সে:মি: ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বুদ্ধির ফলে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। লঞ্চ ঘাট টি যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত