ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। অপরূপ আঁকাবাকা পাহাড়ি কন্যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে সারা বছর পর্যটকে মুখরিত থাকতো। কিন্তু ১ মাস পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রশাসন। পর্যটন নগরী খাগড়াছড়িতে পর্যটক না আসায় পর্যটন কেন্দ্র, ব্যবসা – বাণিজ্য- পরিবহন সহ বিভিন্ন খাতে বিরূপ প্রভাব পরেছিল। এক মাস বন্ধের পর আজ (০৫ নভেম্বর) মঙ্গলবার থেকে পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পূর্বের আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের,,
পর্যটক মো. সোহেল জানান, কাজের সুবাদে খাগড়াছড়িতে এসেছি। শুনেছি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আমার খাগড়াছড়িতে আগে আসা হয়নি। খাগড়াছড়িতে যে এত সুন্দর পর্যটন স্পট আছে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে না আসলে বুঝতাম না। সত্যিই অসাধারণ।
পর্যটক মাহফুজ আলম জানান, দীর্ঘ একমাস পর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়াতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসলাম আলুটিলায়। নিরিবিলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেষ্টিত এই পর্যটন স্পটটি।
পরিবহন শ্রমিক আব্দুল খালেক জানান, এক মাসের অধিক সময় পাহাড়ে পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যার কারণে জেলায় কোনো পর্যটক আসেনি। পর্যটক না আসার কারণে ঠিকমতো গাড়ির জ্বালানি খরচও যোগাতে পারেননি। পর্যটক না আসায় অনেকে বেকার হয়ে পড়েছিলাম।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের কাউন্টার কোষাধ্যক্ষ কোকোনাথ ত্রিপুরা জানান, আজকে থেকে পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি তুলে নেওয়াতে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আশা করি পর্যটক আসতে থাকলে বন্ধের কারণে যে আর্থিক লোকসান হয়েছিলো তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা জানান, পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়াতে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। এসময় টাতে খাগড়াছড়ি পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটক সমাগম থাকে। বন্ধ থাকার কারণে গত মাস সরকার পর্যটন খাত থেকে রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। পরিস্থিতি এভাবে শান্ত থাকলে পর্যটক আসবে এবং আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠবে, সরকারের রাজস্ব আদায় হবে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন ভাবে পর্যটন নির্ভর প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ। পর্যটন কেন্দ্র গুলো পূর্বে মতো স্বাভাবিক ও পর্যটকের পদভারে মুখরিত রাখতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার আহ্বান সুশীলসমাজের।