আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার খাগড়াছড়ি
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র (রুই জাতীয়) হালদা নদীর সুরক্ষা, সংরক্ষণ, দুষণমুক্ত রাখা, জীব-বৈচিত্র রক্ষা এবং এই নদীকে ধারণ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। সেইসাথে হালদা নদীর উৎসমুখ সুরক্ষা ও সংরক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। সেই লক্ষেই কাজ করছে সরকার।
২৬ অক্টোবর শনিবার সকালে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হালদা নদীর উৎসমুখ, সুরক্ষা এবং তামাক চাষের বিকল্প কর্মসংস্থান বিষয়ক স্টেকহোল্ডার উদ্বুদ্ধকরণ ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
'হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপের সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. রাজু আহমেদ।
মানিকছড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় ওয়ার্কশপে বক্তব্য রাখেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক ও মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অভ্যন্তরীণ) জিয়া হায়দার চৌধুরী, রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু, আবদুল মান্নান, হালদার উৎসমুখের বাসিন্দা কর্ণ মোহন ত্রিপুরা, হালদার উজানের তামাক চাষি মো. কামাল হোসেন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, 'হালদা নদী দেশের বৃহত্তর সম্পদ। হালদার উজানে বিষাক্ত তামাক চাষ, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন, অবাধে গাছ কাটার ফলে হুমকিমূখে পড়েছে হালদার ভবিষ্যৎ! প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই হালদাকে বাঁচানো সম্ভব। তাই হালদা নদীর সুরক্ষা, নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সবার এগিয়ে আসা নৈতিক দায়িত্ব'।
ওয়ার্কশপে শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, হালদার উজানের নতুন ও পুরাতন তামাক চাষি, জেলে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত