• বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অচিরেই জিও ব্যাগ,বাঁধ ও ব্লক দিন মেঘনার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে মানববন্ধনে এলাকাবাসী আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সাথে মতবিনিময় মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বান্দরবানে ইটভাটা বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষাধিক শ্রমিক শত কোটি টাকা ক্ষতি অবৈধ বালি উত্তোলনের মহোৎসব-,উল্টো প্রাণ নাশের হুমকি মহালছড়ি বাসীর ভালোবাসায় সিক্ত জননেতা ওয়াদুদ ভুইয়া গোয়ালন্দে পৃথক ভাবে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মোল্লাহাটে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে নানা আয়োজন বাঘাইছড়িতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ণাঢ্য র‍্যালী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে গ্রেফতার ২

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে শোক ভুলেছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৮৭৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সব শোক ভুলে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক মুজিববর্ষ উপলক্ষে সম্পন্ন করা ৫০ হাজার বার পবিত্র কুরআন খতম ও বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে অনুষ্ঠেয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিচার পাওয়ার সুযোগ ছিল না। আজকে একটা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সবাই মামলা করতে পারেন। বিচার চাইতে পারেন। আমরা বিচারটা চাইতে পর্যন্ত পারিনি। আইন করে একটা হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হলো। প্রতিটি হত্যায় জড়িত খুনিরা যেন পার না পায় আমি সেই পরিবর্তন আনতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সব শোক ভুলে আছি। মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই যেন বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি এতিমদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা যারা এতিম তাদের ব্যথা আমরা বুঝি। আমিও একদিন ঘুম থেকে উঠে শুনি আমার বাবা-মা-ভাইসহ কেউ নেই। সে কারণে আমরা এতিমদের দুঃখ বুঝি। তোমরা যারা এতিম, তারা একা নও। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন তোমাদের পাশে আমি আছি।

এতিমদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তোমাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে । তোমরা প্রতিটি শিশু যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারো এজন্য তোমাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। বাবা-মা কারো চিরকাল থাকে না। তোমরা মানুষের মতো মানুষ হলে বাবা-মা যেখানেই থাকুক, তারা তোমাদের জন্য দোয়া করবেন। তোমরা মানুষ হতে পারলে তোমরাও একদিন এতিমদের পাশে দাঁড়াতে পারবে।

তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানা সব সময় তোমাদের মতো এতিম এবং অসহায়দের কথা ভাবি। এজন্য তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা কিভাবে দেয়া যায় আমরা সে চিন্তা করি। তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের জীবনে তোমরাই সবচেয়ে আপনজন। এজন্য আমাদের পরিবারে যে কারো জন্মদিনে আমরা বাইরে বড় করে কোনো অনুষ্ঠান না করে তোমাদের মত এতিমদের কাছে আমরা মিষ্টি ও খাবার পাঠাই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বড়লোকেরা তো সব সময় ভালো ভালো খাবার খায়। যে কারণে জন্মদিনে অন্য কাউকে দাওয়াত না করে আমরা তোমাদের মতো শিশুদের দাওয়াত করি। তোমাদের জীবন সুন্দর হোক, সফল হোক। মন দিয়ে পড়াশোনা করবে। সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা নিয়ে তোমরা কাজ করবে। নিজেরা বড় হতে পারলে তোমরা একদিন এই রাষ্ট্রের উপকার করতে পারবে।

অন্য প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিজড়া এবং বিভিন্ন অনগ্রসর জাতিকেও আমরা সহযোগিতা করছি। যারা হিজড়া তারাও তো কোনো না কোনো মায়ের সন্তান। কেন তাদের দূরে ঠেলে দেয়া হয়, কেন তাদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়। তারাও পরিবারের সন্তান, তারাও পরিবারেই বড় হবে।

অনুষ্ঠানে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে সরকারি শিশু পরিবার ও এতিম শিশু কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ