রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠ ঈদগাহ ময়দানে দূর্গাপূজা আয়োজনের প্রতিবাদে আজ রোববার (৬ অক্টোবর) বিকালে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই মাঠে দূর্গাপূজা করার অনুমতি না দিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বাসাবোর সচেতন দ্বীনদার এলাকাবাসী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এলাকাবাসীর দাবিগুলো হল-
বাসাবো বালুর মাঠে ঈদের জামাত বন্ধ করে একাধিক পূজা মণ্ডপ চালু করে স্বৈরাচার আওয়ামী নেতা চিত্তরঞ্জন দাস।
ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে যে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের পতন ঘটিয়েছে, সেই স্বৈরাচারের লোক চিত্তরঞ্জন দাসের চালু করা মণ্ডপ বাসাবো বালুর মাঠে থাকতে পারবে না।
বাসাবো বালুর মাঠে চতুর্পার্শ্বে একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা বিদ্যমান। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের নেতা চিত্তরঞ্জন দাস উদ্দেশ্যমূলক মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে সেখানে একাধিক মণ্ডপ তৈরী করে। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোন কাজ বাসাবো বালুর মাঠে হতে দেয়া যাবে না।
বাসাবো বালুর মাঠ জনগণের প্রাত্যাহিক বিচরণের একটি স্থান। পূজা মণ্ডপ হলে সেখানে পূজার গেট হবে। যে গেটের ছবিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেব-দেবীর ছবি থাকবে। বাসাবো বালুর মাঠে আগত এলাকাবাসী মুসলমানরা সেই গেটের নিজ দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হবে। অথচ দেব-দেবীর ছবির নিচ দিয়ে যাতায়াত করা স্পষ্ট শিরকের গুনাহ হবে, যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সামিল।
রাজধানীর উত্তরাতে একাধিক ঈদগাহ ময়দানে পূজা মণ্ডপ নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে প্রশাসন মণ্ডপগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়। ঈদগাহ ময়দানের কারণে উত্তরাতে পূজা মণ্ডপ অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলে, বাসাবো বালুর মাঠের মণ্ডপসমূহ কেন সরানো হবে না?
তারা আরও বলেন, মুসলমানদের ঈমান-আমল হেফাজত করতে বাসাবো বালুর মাঠে কোন প্রকার দূর্গা পূজার মণ্ডপ বসানো যাবে না। বাসাবো বালুর মাঠের সকল পূজা মণ্ডপসমূহকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হোক।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত